বিজ্ঞাপন

দেড় শতাংশ ভোট পেয়ে তৈমুরের জামানত বাজেয়াপ্ত

January 8, 2024 | 1:17 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

রূপগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদে দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল বিএনপি—এমনটাই দাবি করে আসছিলেন দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত অভিযোগ করে নানাভাবে গণমাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার।

বিজ্ঞাপন

তবে রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের ফলাফলে দেখা গেছে ১২৮ কেন্দ্রে তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন তিন হাজার ১৯০ ভোট।

নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, একটি নির্বাচনি এলাকায় যত ভোট পড়ে তার শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ কোনো প্রার্থী না পেলে প্রার্থিতার সঙ্গে জমা দেওয়া জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশন থেকে বেসরকারিভাবে পাওয়া এই সংসদীয় আসনের ১২৮টি কেন্দ্রের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিজয়ী প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) পেয়েছেন এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়া পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাকের পার্টির গোলাম ফুল প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ যোবায়ের আলম ভুঞা পেয়েছেন ৬০৪ ভোট, আলমিরা মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১৬৫ ভোট, ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, ইসলামি ঐক্য ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকে এ কে এম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ৮২০ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মো. সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ৫৬৫ ভোট, ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী গোলাম মূর্তজা পেয়েছেন ৩৯১ ভোট।

সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দুই লাখ ১২ হাজার ৬২৪ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেন। এর সাড়ে ১২ শতাংশ হিসেবে জামানত রক্ষার জন্য তৈমুর আলম খন্দকারের প্রয়োজন ছিল ২৬ হাজার ৫৭৮ ভোট। তবে তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী জামানত হারাবেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা, তারাব ও কাঞ্চন পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২৮টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ৮১৭।

বিজ্ঞাপন

এ আসনে মোট ভোট সংখ্যা তিন লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ জন। এর মাঝে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৪ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৮৮ হাজার ৭২০ জন। এখানে দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

সারাবাংলা/এসবি/আইই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন