বিজ্ঞাপন

গ্যাস সংকট শিগগিরই কাটবে, আশা প্রতিমন্ত্রীর

January 16, 2024 | 3:17 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে তা দুই একদিনের মধ্যে কাটতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘সংস্কারাধীন এলএনজি টার্মিনাল দু’একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাচ্ছে, ফলে আমাদের গ্যাস সরবরাহে আরও ৪০০ এমএমসিএফ যোগ হচ্ছে। আসছে রমজান ও সেচ মৌসুমকে সামনে রেখে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এরমধ্যে গ্যাস অন্যতম। দেখতে পাচ্ছি বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের চাপ কম রয়েছে। এই অসুবিধা খুব স্বাভাবিক। এখন শীতকাল। যে কারণে গ্যাসের চাপ কমে যায়। আমরা আশা করছি দুই এক দিনের মধ্যে বন্ধ থাকা টার্মিনাল চালু হয়ে যাবে। আমাদের টার্গেট আগামী মার্চ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দেওয়া। কারণ সামনে রোজা আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দিনক্ষণ ঠিক না করে কিছু পরিকল্পনা ঠিক করেছি। অগ্রাধিকারে থাকবে নিজস্ব উৎস থেকে গ্যাসের সন্ধান ও উত্তোলন করা। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত ৪০ কূপ খনন শেষ করা। আশা করছি ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০০ এমএফসিএফ গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। এছাড়া আরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৭ সালে গ্যাসের চাহিদা ৬ হাজার কোটি ঘনফুটে পৌঁছাবে। এসব পদক্ষেপের কারণে সে চাহিদা পূরণ করা যাবে।‘

তিনি বলেন, ‘পেট্রোবাংলা গ্যাস ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন মাস্টারপ্ল্যানে হাত দিয়েছে। আগামী ৫০ বছরকে সামনে রেখে এই মাস্টারপ্ল্যান নেওয়া হয়েছে। এটা রিভিউ করা হবে নিশ্চয়ই। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কনসালটেন্ট হায়ারের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে সুখবর রয়েছে। সেখানে ১.৬ ডিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে। শেভরন সেখানে কাজ করছে। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে তেলের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়ে যাবো।’

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের দুইটি বড় চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে সেচ ও রমজান শুরু হচ্ছে। এখন যে তাপমাত্রা তখন হয়তো সেটা থাকবে না। আগে থেকে কোনো কিছু ধারণা করা যাচ্ছে না। আমরা ধারনা করছি এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজারের ওপরে চলে যাবে। সেটার কয়লা, গ্যাস সময়মত যোগান দেওয়া। সময়মত তেলের যোগান দেওয়া। আমাদের হাতে যদি জ্বালানি থাকে তাহলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো।’

বকেয়া বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল আদায়ের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। একটা সময়ে আমরা বাধ্য হলাম আমদানি বন্ধ করে লোডশেডিং দিতে। সেখান থেকে তো কিছুটা আমরা বেটার অবস্থায়। আমাদের অর্থের যে কমতি রয়েছে তা আশাকরি আমরা এ মাসের মধ্যে কাটিয়ে উঠতে পারবো। আমাদের আরো বড় চ্যালেঞ্জ আসছে সেটার জন্য আমরা প্রস্ততি নিচ্ছি, মধ্যপ্রাচ্যে যদি যুদ্ধ লেগে যায় তাহলে আবারও একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কয়লা উত্তোলনের অপশন তৈরি করেছি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসবো আমরা। কিভাবে কৃষি জমি নষ্ট না করে কিভাবে পরিবেশের ক্ষতি না করে কয়লা উত্তোলন করা যায় সেদিকে খেয়াল থাকবে। অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আসবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সকলে মিলে মোকাবিলা করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

এরইমধ্যে আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করেছে। আমি তৃতীয়বারের মতো বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। আমাদের এখানে স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

সারাবাংলা/জেআর/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন