বিজ্ঞাপন

মিতু হত্যা মামলায় আরও ৪ জনের সাক্ষ্য

January 16, 2024 | 6:50 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু মামলায় আরও চার জনের সাক্ষ্যগ্রণ সম্পন্ন করেছেন আদালত। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট ৩৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

সাক্ষীরা হলেন- আসামি এহতেশামুল হক ভোলার অনুসন্ধান প্রতিবেদনের তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সংকর বড়ুয়া, আসামি আনোয়ার হোসেনের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন, আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার মুছার ভাড়া বাসার মালিক আনিসুজ্জামান ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় জব্দ তালিকার সাক্ষী উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোস্তাক আহম্মেদ।

এর মধ্যে বাবুল আক্তারের ভাড়া বাসার মালিক মো. ইবরাহিমের নাম সাক্ষী তালিকায় থাকলেও তিনি শারিরীক অসুস্থতার কারণে সাক্ষ্য দিতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ সারাবাংলাকে জানান, মিতু হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) পুলিশের দুই এএসআইসহ চারজন সাক্ষী দিয়েছেন। পাঁচজনের সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজনের শরীর খারাপ লাগায় তিনি আর সাক্ষী দিতে পারেননি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য দেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে। অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলো— মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক প্রকাশ, হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।

আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন