বিজ্ঞাপন

বগুড়ায় শীতের দাপটে মানুষ কাঁপছে

January 16, 2024 | 7:11 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বগুড়া: মাঘের শীত নিয়ে প্রবাদ এখন উত্তরের মানুষরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। সর্বত্র স্থবিরতা এনে দিয়েছে। শীতের তীব্রতার সঙ্গে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা জানান দিচ্ছে হাড় কাপাঁনো শীতের রাজা মাঘ মাস চলছে। উত্তরের শেষ প্রান্তের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বেশি। একই অবস্থা উত্তরের ব্যস্ততম জেলা বগুড়ায়। এখানে শীতের পারদ ক্রমেই নিচের দিকে নামছে। আগের দিনের চেয়ে পরের দিন তাপমাত্রা আরও কমছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বগুড়ায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়ায়।এর আগে বগুড়ায় মৌসুমের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়ায়। গত বছরে জানুয়ারির এই দিনে বগুড়ায় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে কুয়াশা ভরা ধোঁয়াটে আকাশে হারিয়েছে সূর্য। তাই কখন সকাল বা কখন দুপুর গড়িয়ে বিকালে বেলা পৌঁছেছে তা ঠাহর করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাত ছাড়াও সকাল-বিকালেও মহাসড়কে গাড়ির হেড লাইট জ্বালাতে হচ্ছে। আর শীতের কারণে বির্পযস্ত্র হয়ে পড়ছে জনজীবন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এই শীতের তীব্রতা দুভোর্গ বয়ে এনেছে।

রিক্সা চালক আজগর পুরানো জ্যাকেট ও মুখমণ্ডল ঢেকেও রিকশা চালাতে গিয়ে কাহিল হয়ে পড়ছেন। বগুড়ার সোনাতালা থেকে সকালে ট্রেনে শহরের এসে নামেন প্রতিদিন। ভাড়ার রিকশা চালিয়ে আবার বাড়ি ফেরেন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এখন হাত-পা অসার হয়ে আসায় বেশি সময় ধরে রিকশা চালাতে পারেন না। তারপরেও সংসারের তাগিদে এই শীতে রিকশা চালাতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আজগর মতো সব নিম্ন আয়ের লোকজনের একই অবস্থা। বিশেষ করে দিনমজুর যারা খোলা জায়গায় কাজ করেন। শীত বেড়ে চলায় সব জায়গায় এক প্রকার স্থবিরতা এনে দিয়েছে। তবে ব্যতিক্রম শহরের পুরনা কাপড়সহ অন্যান্য গরম কাপড়ের মার্কেটগুলোতে। এর মধ্যে বেশি ভিড় পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে।

ফুটপাতের ধারে পুরানো কাপড়ের ব্যবসায়ী হাসান জানালেন, তাদের এখন বেচা-কেনা দ্বিগুণ বেড়েছে।

গত ৫ দিনে মধ্যে সোমবার এক চিলতে রোদের দেখা দিয়েই তা মিলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আর রোদের দেখা নেই। সর্বত্র কুয়াশায় ধোঁয়াশে অবস্থা।

বিজ্ঞাপন

বগুড়া আবহাওয়া অফিস সুত্র জানিয়েছে, বগুড়ায় মঙ্গলবার সবোর্চ ও সর্বনিম্ম তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীত অনুভুত হচ্ছে বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারাবাংলা/এএইচএম/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন