বিজ্ঞাপন

বদির বিরুদ্ধে আরো তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

May 22, 2018 | 5:45 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আরো তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত সে যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।’

মঙ্গলবার (২২ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের নিহত হওয়া প্রসঙ্গে এক অনির্ধারিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এমপি বদির বিরুদ্ধে আমরা আরো তথ্য সংগ্রহের কাজ করছি। যথাযথ তথ্য পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মাদক ব্যবসায়ীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সারাদেশের মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা তৈরি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠায়। ১৪১ জনের ওই তালিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় বলা হয়, ‘সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি দেশের ইয়াবা জগতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী। তার ইশারার বাইরে কিছুই হয় না। দেশের ইয়াবা আগ্রাসন বন্ধের জন্য তার ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।’

কেবল সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বদিই নয়, তার পাঁচ ভাইয়ের নামও উঠে আসে ওই তালিকায়। এ ছাড়া, মাদক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত সরকারের প্রায় সব সংস্থার তালিকাতেই সংসদ সদস্য বদির পাঁচ ভাইয়ের নাম রয়েছে। আরো রয়েছে বদির ব্যক্তিগত সহকারী মং মং সেন ও ভাগ্নে সাহেদুর রহমান নিপুসহ আরও বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠজনের নাম।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকা সংক্রান্ত গোপনীয় প্রতিবেদনের ভূমিকা অংশে বলা হয়েছে, ‘সরকারদলীয় এমপি হওয়ার সুবাদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনুসারী/সহযোগী নিয়ে তিনি (বদি) ইচ্ছেমাফিক ইয়াবা ব্যবসাসহ অন্যান্য উৎস থেকে অবৈধ আয়ে জড়িত আছেন। শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা করার সাহস রাখে না। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জেলার অন্য শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বা টেকনাফের যেকোনো চাঁদাবাজ এলাকায় প্রভাব বিস্তারে সক্ষম নয়। বিশেষত মিয়ানমার থেকে চোরাচালান হওয়া ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করার জন্য তার ইচ্ছাশক্তি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচএ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন