বিজ্ঞাপন

বাদশা ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে

January 18, 2024 | 3:59 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাজশাহী: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা নিজ দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। তিনি বলেন, ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনি পোস্টার-ফেস্টুন ও সভাতেও একটিবারও উল্লেখ করেননি তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তিনি শুধু বলেছেন ১৪ দলের মনোনীত প্রার্থী। তাই তিনি নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ আসনে বিজয়ী হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী (কাঁচি প্রতীক) অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এই কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

সংবাদ সম্মেলনের বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে মনগড়া অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন ১৪ দল প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি নির্বাচন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কাঁচি প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও রাজশাহী-২ (সদর) নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার কাছে হেরে ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনকে বির্তকিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে লিখিত অভিযোগ করে এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, ‘নির্বাচনের দিনে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ যা উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ অসত্য। তিনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের তার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দোষারোপ করেছেন, যা অনাকাঙ্খিত।

তিনি বলেন, ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর বিগত ১৫ বছরের নিজের কর্মকাণ্ড বিচার-বিশ্লেষণ না করে মনগড়া অভিযোগ তুলে তিনি রাজশাহীবাসী ও ভোটারদের হেয় করেছেন। ফজলে হোসেন বাদশা তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন। আমরা তার এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী মহানগরীর জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করতে সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেনসহ অনান্যরা।

সারাবাংলা/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন