বিজ্ঞাপন

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

January 25, 2024 | 2:43 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানে একশ কর্মদিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এসময়ে মধ্যে বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড়কাটা ও জলাধার ভরাট রোধসহ পরিবেশ সুশাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গহণ করা হবে। এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ডের একটি শক্তিশালী সূচনাসহ পুরো মেয়াদে কাজ করার একটি কাঠামো তৈরি করবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

১০০ কর্মদিবসেত অগ্রাধিকার ঘোষণা করেন সচিব ড. ফারহিনা। এসময় যে অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরা হয় তা হল- প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি; দূষণ নিয়ন্ত্রণ; বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ; এবং জলবায়ু পরিবর্তন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সার্বিকভাবে বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। পরিবেশ বিপর্যয় আমাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ, ঢাকা বায়ু দূষণে প্রথমদিকে থাকে। পাশাপাশি পানি, প্লাস্টিক ও শব্দ দূষণ ঘটছে। এর মধ্যে পরিবেশ ও বন আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জলবায়ু আমাদের হাতে নাই।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা মানুষের সঙ্গে সৎ হতে চাই। তাই শুরুতেই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে নিচ্ছি। জবাবদিহিতার জায়গা নিশ্চিত করতে চাই তাই এই কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, জনবল ও প্রশিক্ষণ কাঠামো ঠিক করতে চাই। দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় সরকার মমন্ত্রণালয়, বিআরটিএ-এর সঙ্গে সমন্বয় করছি। এছাড়াও যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষক কাজ করছেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ইটভাটা ম্যাপিং করা হবে ও দূষণ বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ইটভাটার মাধ্যমে ১৩ কোটি মেট্রিক টন কৃষিজমি হারাচ্ছি। বর্তমানে মাটি পুড়িয়ে ২৫০ কোটি ইট তৈরি হচ্ছে আর ৩০০ কোটি টন পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরি হচ্ছে। ২০২৮ সালের মধ্যে পুরোপুরি ব্লক ইটে চলে যাব। এর আগে ২০২৪ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা ছিল। প্রাথমিকভাবে ৫০০ ইটভাটা বন্ধ করা হবে যাতে এর মধ্যে ব্লক ইটের উৎপাদন বাড়ে। এছাড়া ড্রোনের মাধ্যমে নদী দূষণ বের করা হবে।

২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ ভাগ কমানো হবে। এছাড়াও তিন মাসের মধ্যে ইপিআর ও ইটিপি নির্ধারণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন