বিজ্ঞাপন

মার্কিন সিনেট সদস্যদের চিঠি কতটা যুক্তিসঙ্গত

January 25, 2024 | 5:32 pm

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

সম্প্রতি গত পহেলা জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলার চূড়ান্ত রায় দিয়েছে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। সংবিধানের আলোকে দেওয়া এই রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। রায় ঘোষণার সময় ড. ইউনূসসহ চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের এরকম বিভিন্নভাবে ঠকিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে এই ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সহচরীদের করা এসব কর্মকা- নিঃসন্দেহে অবৈধ এবং শ্রম আইনের পরিপন্থী। এসব কর্মকা- নিত্যান্তই বাংলাদেশ সংবিধান বিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধের শামিল। সেজন্যই বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী তাদের এমন সংবিধান বিরোধী কর্মকা-ের উপযুক্ত সাজা বাংলাদেশের সংবিধান নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনা জনগণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি যুগান্তরী এই রায় স্বাধীন বাংলাদেশে অপরাধী যেই হোক না কেন কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় তার নিশ্চয়তা প্রদান করছে।

কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে স্বাধীন বিচার বিভাগ কর্তৃক দেওয়া এই রায়কে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্প্রতি মার্কিন ১২ সিনেটর চিঠি দিয়েছেন। তারা হলেন- সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ হুইপ ইলিনয়ের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর ডিক ডারবিন, ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর টড ইয়াং, নর্দান ভার্জিনিয়ার ডেমোক্রেট সিনেটর টিম কেইন, অরিগন রাজ্যের ডেমোক্রেট সিনেটর জেফ মার্কলি, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডেমোক্রেট সিনেটর জেন শাহিন, ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর এড মার্কি, ওহাইও রাজ্যের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর শেরোড ব্রাউন, ভারমন্ট রাজ্যের ডেমোক্রেট সিনেটর পিটার ওয়েলস, রোডস আইল্যান্ডের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর শেলডন হোয়াইটহাউস, অরিগনের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর রন উয়াইডেন ও নিউজার্সির ডেমোক্রেট সিনেটর কোরি বুকার। এই ১২ জন মার্কিন সিনেটর কর্তৃক একটি স্বাধীন দেশের সংবিধানের আলোকে দেওয়া রায়কে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত সে প্রশ্নটা চলে আসে। স্বাধীন দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ কর্তৃক দেওয়া রায়ের ব্যাপারে এমন অযুক্তিক মন্তব্য করা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে কতটা যুক্তিসঙ্গত সেখানেও একটা প্রশ্ন থেকে যায়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন এবং কর ফাঁকির মাধ্যমে সংবিধান বিরোধী কাজ করেছেন। এক্ষেত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার কৃত কর্মকান্ডের জন্য আইনের চোখে অপরাধী প্রমাণিত হয়েছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পেয়ে অনেক প্রচেষ্টার পরেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেনি। সেইক্ষেত্রে সংবিধানের আলোকে কৃত অপরাধের জন্য তার উপযুক্ত সাজা ও জরিমানা হয়েছে। এটাতো একদমই স্বাভাবিক একটা বিষয় যে অপরাধী নিজ অপরাধ অনুযায়ী সাজা ভোগ করবে। এমতাবস্থায় মার্কিন সিনেটরদের ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করাটা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত হয়নি। এ ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার এবং তার ওপর হুমকির শামিল। মার্কিন সিনেটর কর্তৃক বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং তার ওপর হুমকি সৃষ্টি করার অপপ্রচেষ্টা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারেনা।

বিজ্ঞাপন

উক্ত চিঠিতে সিনেটররা দাবি করেছে যে অন্তত এক দশক ধরে বাংলাদেশে অন্তত ১৫০টি অপ্রমাণিত বিষয়ে মামলা করা হয়েছে প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে। এই চিঠিটি পরে প্রকাশ করা হয়েছে ডিক ডারবিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। কিন্তু চিঠিতে করা তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভূয়া এবং ভিত্তিহীন। কারণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো অপ্রমাণিত নাকি প্রমাণিত ছিলো তার সত্যতা পাওয়া যায় উক্ত মামলার চলা দীর্ঘ ঘটনাক্রম থেকে। ঘটনাক্রম বলছে ০৯/০৯/২০২১ তারিখে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের হবার পর উক্ত মামলা বাতিলের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উক্ত রিট পিটিশন খারিজ হবার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন। সেটিও খারিজ হবার পর শ্রম আদালতে মামলার কার্যক্রম তথা চার্জ গঠন করা হয়। উক্ত চার্জ গঠনের বাতিল চেয়ে পুনরায় উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন এবং সেটি খারিজ হবার পর সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেটিও চূড়ান্তভাবে খারিজ হবার পর আবার ২২/০৮/২০২৩ তারিখে অর্থাৎ মামলা দায়েরের প্রায় দুই বছর পর শ্রম আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহন কার্যক্রম শুরু হয়। যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় সেগুলো সুরাহা হবার পরেই মামলাটির নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম চালু হয়। সুতরাং অপ্রমাণিত বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে মার্কিন সিনেটর কর্তৃক যে মন্তব্য করা হয়েছে তা কতটা যুক্তিযুক্ত তা এই মামলার ঘটনাক্রম থেকে স্পষ্ট হওয়া যায়। তবে এখানেই শেষ নয়, এই মামলায় সর্বমোট ২১ কার্যদিবসের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী মামলার বাদীকে সর্বমোট ৭ কার্যদিবস জেরা করেন যা নজিরবিহীন। এছাড়াও তিনি ৮ কার্যদিবস যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। এতো দীর্ঘসময় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নজির শ্রম আইন সংক্রান্ত কোন মামলার অতীত কোনো ইতিহাসে তা কখনো দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে এটাই প্রতীয়মান যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আদালতে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ন্যায্য সুযোগ নয় বরং প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তিনি আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ খন্ডনে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছেন। সুতরাং মার্কিন সিনেটরদের এমন অযুক্তিক মন্তব্য কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়।

এছাড়াও সিনেটররা চিঠিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বারবার বিচারিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহারের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন এবং অযুক্তিক। উক্ত চিঠিতে তারা দাবি করেছে যে, বারবার ও নিরন্তর ইউনূসকে হয়রানি এটাই প্রতিফলিত করে যে, বাংলাদেশের বহু নাগরিক সমাজের সদস্য ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি রয়েছেন। বিশ্বে বহুল পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। কেননা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক এদেশের গণতন্ত্রমনা জনগণ। জনগণ যখন যেভাবে চেয়েছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশ সেভাবেই পরিচালিত হয়ে এসেছে। স্বাধীন বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায় সরকারের হস্তক্ষেপে রাজনৈতিকভাবে বিচারকার্য পরিচালনা কখনোই সম্ভব না। অপরাধী হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু অপরাধ করেছে ঠিক ততটুকু সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রাপ্ত সাজাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার প্রক্রিয়ার অপব্যবহার বলে মন্তব্য করাটা নিঃসন্দেহে বিচারকার্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রচেষ্টার নামান্তর। সুতরাং আমাদের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অতীতে যেমন পরিচালিত হয়েছে এখন ঠিক সেভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। এখানে আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে বিনা দোষে যেমন কেউ দোষী হওয়ার ও সাজা পাওয়ার সুযোগ নেই ঠিক তেমনি অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক না কেন সে আইনের উর্ধ্বে নয়। সাজা তাকে পেতেই হবে।

এছাড়াও সিনেটররা উক্ত চিঠিতে দাবি করেছে যে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সাথে সম্পর্কে আছে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় এবং অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে বহুজাতিক সহযোগিতা যা বাংলাদেশও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করবে এমন সম্পর্কের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিশ্বাসী নয়। সম্পর্কের দোহাই দিয়ে মার্কিন সিনেটররা বুঝিয়েছেন যে প্রফেসর ইউনূসের হয়রানি বন্ধ করলে তাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। মার্কিন সিনেটরদের এ ধরনের অযুক্তিক এবং ভিত্তিহীন প্রস্তাব স্বাধীন, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ কখনো মেনে নিবেনা। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ্বাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের অন্যায় প্রস্তাব কখনো মেনে নেননি এবং নিবেনও না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন শেখের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কখনো অন্যায়ের নিকট মাথা নিচু করতে শিখেনি। শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে স্বাধীন বিচারকার্য এবং স্বাধীনভাবে প্রত্যেকটি নাগরিক, সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের মত প্রকাশের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা আগেও ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে ভালোবেসে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন কিন্তু কোনোদিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠিন বিরোধিতাকে বঙ্গবন্ধু পরোয়া করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে স্বাধীনতা যেমন নিশ্চিত করেছিলেন ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন সিনেটর তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কৃত অপরাধের সাজা নিশ্চিত করে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সুতরাং, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত বিচারকার্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপপ্রচেষ্টা মার্কিন সিনেটররা করার পায়তারা করছে তা সম্পূর্ণ অযুক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য। সর্বোপরি তাদের এ ধরনের অপপ্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। কেননা একটি স্বাধীন দেশের বিচারকার্য নিয়ে কোনো ধরনের প্রমাণ ব্যতীত অন্য কোনো একটি স্বাধীন দেশ কর্তৃক এ ধরনের মন্তব্য কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয় এবং কখনো হতে পারেনা। শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন এ বাংলাদেশ সবসময় তার নিজ সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও পরিচালিত হবে। কারোও রক্তচক্ষুকে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ বাঙালি জনগণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কখনো পরোয়া করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেনা। অতীতের ন্যায় সব ধরনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের উচিত জবাব দেওয়া হবে।

লেখক: উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন