বিজ্ঞাপন

রাজশাহীতে আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

January 27, 2024 | 10:45 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাজশাহী: রাজশাহীতে কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চলমান শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বাধাগ্রস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতলে বেড়েছে ঠাণ্ডজনিত রোগীর হার। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ভোর ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তাপমাত্রা বাড়লেও গতকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) তা আবার কমে যায়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজশাহীতে বইছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। এই শৈত্যপ্রবাহ চলছে প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে। মাঝে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। এই তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তাপমাত্রাও এরকমই থাকবে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, গত সপ্তাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে ছিল। সপ্তাহের প্রথমে তাপমাত্রা একেবারে কমে গেছে। পুরো সপ্তাহটা এরকম থাকবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকে তাপমাত্রা বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

আবহাওয়ার অফিসের তথ্য বলছে, গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজশাহীতে সবনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ওইদিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার (২১ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি শৈত্যবাহ বলা হয়। আর এর নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

এই আবহাওয়া পুরো উত্তরবঙ্গজুড়ে। উত্তরের জেলাগুলোতেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছে ছিন্নমূল ও ভাসমান লোকজন। সাধ্যমতো শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শীতার্তরা।

কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় জবুথবু অবস্থা প্রাণীকূলের। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগের প্রকোপ। ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগসহ শীতকালীন নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের রোগীর ভর্তি বেড়েছে। শিশুদের প্রতিটি ওয়ার্ডে উপচে পড়া ভিড়।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৩০০ শয্যার বিপরীতে ৪১২ জন ভর্তি রোগী ছিল। শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেসব রোগীই তুলনামূলকভাবে বেশি। ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে অনেক বেড়েছে।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক পার্থ মনি জানান, অধিকাংশ রোগী ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসছে। শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মেদ বলেন, শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। তবে শিশু হাসপাতাল চালু হলে এ সমস্যাটা থাকবে না। আর বাড়তি রোগীর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবস্থাপনাও বাড়ানো হয়েছে।

সারাবাংলা/এমই/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন