বিজ্ঞাপন

‘অপ্রস্তুত’ বইমেলার প্রথমদিন পাঠক-দর্শনার্থী কম

February 1, 2024 | 8:35 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা। প্রথম দিন অনেকটা ‘অপ্রস্তুত’ই মেলা প্রাঙ্গণ। এখনও চলছে কাঠামোসজ্জার কাজ। অনেক স্টলে এখনো ওঠেনি বই। এমনকি প্রথমদিনের আয়োজনে পাঠক-দর্শনার্থীও কম।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাঙালির ‘প্রাণের এ মেলা’র ৪০তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেষ বিকেলে বইমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ ঘুরে দেখা যায়, অনেকগুলো স্টল এখনও সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়নি। কোনোটিতে চলছে সজ্জার কাজ, কোনোটি বইয়ের অপেক্ষায় ফাঁকা পড়ে আছে। কয়েকটি স্টল তো একেবারে বন্ধই পাওয়া গেল। লিটল ম্যাগ চত্বরে না আছে বই, না আছে মানুষ! মন্দিরগেইট-সংলগ্ন শিশুচত্বরও বেশ অপ্রস্তুত।

জানতে চাইলে পার্ল পাবলিকেশনের এক বিক্রয়কর্মী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সময় পেয়েছি কম। তার পরও আমরা বই উঠিয়ে ফেলেছি। অনেক প্রকাশনী এখনও স্টলের কাজ করছে। এত অল্প সময় পেয়েছি এবার। এই সময়ের মধ্যে সব প্রস্তুত করা কঠিন ছিল।’

বিজ্ঞাপন

অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের বিক্রয়কর্মী পপি সারাবাংলাকে জানান, ‘গতকাল অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হওয়ায় আমরা এখনো স্টল প্রস্তুত করতে পারিনি। আগামীকালের মধ্যেই সব প্রস্তুত করে ফেলব আশা করি।’

প্রথমদিনের এমন পরিস্থিতিতে পাঠক-দর্শনার্থীর সংখ্যাও কম। উদ্যান অংশজুড়ে ছিল তরুণ-তরুণীদের আধিক্য। মেলার লেকপাড় অংশে ম্যাচিং করে শাড়ি পরে মেলায় ঘুরতে আসা চার বন্ধু সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার এই প্রতিবেদকে। তাদের ভাষ্য— প্রথমদিন মেলায় আসার আনন্দ কোনো বছরই মিস করেন না তারা।

বিজ্ঞাপন

তাদের-ই একজন সাদিয়া আফরিন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা চার জনই অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ি। গত বছরগুলোর মতো এবারও আমরা শাড়ি ম্যাচিং করে মেলায় এসেছি। এখানে এসে আমরা বই কিনি, ছবি তুলি। এর মধ্যে আলাদা মজা আছে।’ সাদিয়ার দাবি, প্রথমদিকে মেলায় মানুষের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম থাকে বলে স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবারই প্রথমদিনের চিত্র একই। স্টল প্রস্তুত হয় না, লোক কম থাকে। এবারও ভিন্ন কিছু ঘটছে না।’

প্রসঙ্গত, ‘পড়ো বন্ধু গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’— এই প্রতিপাদ্যে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা যায়, একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে এবারের মেলার আয়োজন। এবার থাকছে ৬৩৫টি স্টল এবং ৩৭টি প্যাভিলিয়ন। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিটসহ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন