বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানকে অল্পতে আটকে সেমির স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

February 3, 2024 | 5:32 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দলের সামনে নানান সমীকরণ। সুপার সিক্স থেকে এরই মাঝে সেমিতে উঠেছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দল হিসাবে কে সেমিতে উঠবে, সেটা নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচেই। এই ম্যাচ জিতলে পাকিস্তানের সমান ৬ পয়েন্ট হবে বাংলাদেশের। তাই শুধু জিতলেই চলবে না রাব্বিদের। জয়ের পাশাপাশি নজর রাখতে হবে নেট রান রেটের দিকেও।

বিজ্ঞাপন

এমন সমীকরণকে সামনে রেখে  টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক রাব্বি। জয়ের লক্ষ্যে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করলে বাংলাদেশকে জিততে হতো ৫১ রানে। প্রথমে ফিল্ডিং করায় বাংলাদেশকে আজ ম্যাচ জিততে হবে ৩৮ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যেই। পাকিস্তান আগে ব্যাটিং করে যদি ৩০০ রানের লক্ষ্য দেয় তবে ৩৯.৩ ওভারেই মধ্যেই সেটা পেরুতে হবে বাংলাদেশকে। আর তারা ২৫০ রানের কম করলে বাংলাদেশকে পেরুতে হবে ৩৯ ওভারের মধ্যেই। আর পাকিস্তান ২০০ রানের মধ্যেই আটকে গেলে বাংলাদেশকে ম্যাচ জিততে হবে ৩৮.৪ ওভারের মধ্যে।

পাকিস্তানকে ২৫০ রানের আগেই আটকে দেওয়ার লক্ষ্যে টাইগার বোলাররা। রহমত বর্ষণ আর শেখ পারভেজ জীবনের বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তানের টপ অর্ডার আর মিডল অর্ডার ধসে পড়ে। যদিও মাত্র ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারালেও শেষ দিকে এসে ১৫৫ রান তুলতে পারে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন রহমত বর্ষণ এবং পারভেজ জীবন। এছাড়া একটি উইকেট নেন মাহফুজুর রাব্বি। পাকিস্তান ৪০.৪ ওভারে অল আউট হয়। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন আরাফাত মিনহাস।

বিজ্ঞাপন

শামিল হুসেন ও শাহজাইব খানের উদ্বোধনী জুটি ৮.৩ ওভারেই তুলে ফেলে ৩৭ রান। নবম ওভারের চতুর্থ বলটিতে মিডিয়াম পেসার রোহানাত দৌল্লাহ শামিলকে বোল্ড করতেই খুলে যায় উইকেটের দরজা। নিজের পরের ওভারেই তিনে নামা আজান আওয়াইসকে উইকেটকিপার আশিকুর রহমানের ক্যাচ বানান রোহানাত। ১৭তম ওভারে পাকিস্তানের অধিনায়ক সাদ বেগ যখন রানআউট হলেন দলটির স্কোর ৬৬/৩।

এরপর রান তুলতে হাঁসফাঁস করেছে পাকিস্তানিরা। ওপেনার শাহজাইব ২৪তম ওভারে অফ স্পিনার শেখ পারভেজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে যখন ফেরেন ২৩.৪ ওভারে দলটির রান ৪ উইকেট ৭৬। ৬৭ বলে ২৬ রান করেন শাহজাইব।

পাকিস্তানের রান ৮৯ হতেই নেই আরও ২ উইকেট। আহমেদ হাসানকে আশিকুরের তৃতীয় শিকার বানিয়ে নিজেও তৃতীয় উইকেট পেয়ে যান রোহানাত। পারভেজ এরপর ফিরিয়ে দেন হারুন আরশাদকে।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা হয় এরপরই। সপ্তম উইকেটে ৪৩ রান যোগ করেন আরাফাত মিনহাস ও আলী আসফান্দ। ৩৬তম ওভারে আসফান্দকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পারভেজ। পরের ওভারে উবায়েদ শাহকে বোল্ড করে চতুর্থ উইকেট পেয়ে যান পারভেজ। রোহানাতও নিজের চতুর্থ উইকেট নিতে দেরি করেননি। ৪০তম ওভারে মোহাম্মদ জিশানকে বোল্ড করে এই মিডিয়াম পেসার। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে আরফাত স্টাম্পড হতেই শেষ পাকিস্তানের ইনিংস।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন