বিজ্ঞাপন

পুরনো দায়িত্বে ফিরলেন ডা. আহমেদুল কবীর

February 8, 2024 | 9:56 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে ফেরানো হয়েছে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরকে। চলতি দায়িত্বের আগে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরেরই অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার বা স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে তার নামের পাশে উল্লেখিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি বা পদায়ন করা হলো।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ডা. আহমেদুল কবীর।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব নিয়ে দেশের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হন অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি সারাবাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, দেশের যেখানেই অনিবন্ধিত ও অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। এসব অবৈধ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্দেশনায় সবাই কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো অবৈধ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মানুষ প্রতারিত যেন না হয় সেজন্যেই কাজ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম স্বাস্থ্য। সেই স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হন সেটা নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে সরকারি বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে আমরা ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস (ওসেক) সেবা চালু করেছি। এসব স্থানে মানুষ দ্রুততার সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসা নিতে পারবেন। রোগীর জরুরি প্রয়োজনে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। আর তাই রোগীকে অন্য কোথাও যেতে হবে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, একদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর অন্যদিকে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও যেন মানুষ মানসম্মত চিকিৎসা পায় সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য আমরা গত বছরই আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরপর থেকে অভিযান শুরু করা হয়। যা এখনো চলমান আছে।

তবে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) থেকে অধিদফতরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে আবার ডা. আহমেদুল কবীরকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৯ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন আহমেদুল কবীর। তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আবাসিক চিকিৎসকের দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালে সহকারী অধ্যাপক ও ২০১৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন