বিজ্ঞাপন

বড়পুকুরিয়ার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন

May 23, 2018 | 6:40 pm

।। হাসান আজাদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনি বড়পুকুরিয়ার চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিবাদের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মোস্তফা কামালকে কমিটির আহবায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন হাইড্রোকার্বণ ইউনিটের পরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের এবং জ্বালানি বিভাগের উপ-সচিব মো. মনিরুজ্জামান।

গত ২১ মে জ্বালানি বিভাগের উপ-সচিব খাদিজা নাজনীনের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, এই কমিটি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সুপারিশসমূহ আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে জমা দেবে। জ্বালানি বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

কমিটির আহবায়ক মোস্তফা কামাল এ প্রসঙ্গে জানান, ‘আমরা কাজ শুরু করেছি। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দিতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সারাবাংলার দিনাজপুর করেসপন্ডেন্ট তনুজা শারমিন জানান, বুধবার (২৩ মে) ১১ তম দিনের মতো খনির শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এর আগে গত ১৭ মে খনির শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। খনি এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বড়পুকুরিয়ার উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, খনির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম গত ১৮মে চীনা শ্রমিক দিয়ে কয়লা উৎপাদন শুরু করেছে। অন্যদিকে, খনির এক হাজার ৪১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক এখনো কর্মবিরতি পালন করছেন। গত ১৩ মে থেকে বেশকিছু দাবি দাওয়া আদায়ে এই কর্মবিরতি শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, চুক্তি অনুযায়ী সব শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া, প্রতি বছর শতকরা ৪০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ প্রদান, সকল শ্রমিকদের ক্ষেত্রে গ্র্যাাচুইটি প্রদান, আন্ডারগ্রাউন্ড শ্রমিকদের ৬ ঘণ্টা ডিউটি করানো, ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি গ্রামের বাড়িঘরের দ্রুত স্থায়ী সমাধান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে খনিতে চাকুরী প্রদান, বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান, প্রফিট বোনাস প্রদান। গত ১৩ তারিখ কর্মবিরতী শুরু হলেও গত বুধবার কর্মবিরতির সঙ্গে অবরোধ কর্মসূচিও পালন করছে শ্রমিকরা। এই দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত খনি এলাকা থেকে কোন কর্মকতাকে বের হওয়া এবং প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের অভিযোগ, গত ২৬ এপ্রিল খনি কর্তৃপক্ষকে তাদের দাবি এবং কর্মবিরতির বিষয়ে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। তাই তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন। এদিকে শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেদের ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের মানুষ।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন..

আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনেও অচল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন