বিজ্ঞাপন

‘এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে’

February 11, 2024 | 3:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

রিজভী বলেন, ‘এক দফার আন্দোলন চলছে, চলবে। বহু মৃত্যুঞ্জয়ী সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দল বিএনপি। জনগণের সংগ্রামী ঐক্য, সংকল্প ও বীরত্বকে সঙ্গে নিয়ে দখলদার আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করে এক দফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। যে রাজনৈতিক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, সেটিকে শেখ হাসিনা দমিয়ে রাখতে পারবে না। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।’

তিনি বলেন, “বিরোধী দলের ওপর চরম ক্র্যাকডাউন চালিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বন্দি করেছেন কী উদ্দেশে, সেটি কি দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানে না? কারাগারে রাজবন্দিদের নিকট থেকে মুক্তিপণ আদায়ের মতো দস্যুদের ন্যায় পরিবেশে তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল ‘আমরা আর মামুদের’ একতরফা নির্বাচন।”

বিজ্ঞাপন

‘আর সেটি বাস্তবায়ন করতে আপনি যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের মিছিল-সমাবেশে হামলা চালিয়ে, গুলি করে, মানুষ হত্যা করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করে নিষ্ঠুরভাবে দমন-পীড়ণ চালিয়েছেন তা আপনার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছেন। সেটাকে খণ্ডন করবেন কীভাবে? ভারত যে আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে সেটি তো আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিয়েছেন’— বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘দেশে চলছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টান্তহীন নৈরাজ্য। ফের ক্ষমতা দখলের পর দেশ জুড়ে বেপরোয়া দখলবাজি চলছে। দখল করা সম্পদ ভাগা করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি করে মরছে। কুড়িগ্রাম ও কুমিল্লাসহ সারাদেশে ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে আওয়ামী লীগ নেতারা খুন হচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা নেমে পড়েছে বেপরোয়া নারী ও শিশু নির্যাতনে। বিরোধীদের নির্বিচারে গ্রেফতার, ব্যাপকভাবে নির্যাতন, নারকীয় অত্যাচারের পাশাপাশি জনপদের পর জনপদে আধিপত্য বজায় রাখতে চলছে গণধর্ষণ এবং বেছে বেছে খুন। ফলে সমাজের ওপর নেমে এসেছে এক ভয়াল আতঙ্ক, উদ্বেগ ও বিপদের ছায়া।’

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে লুটপাটে মেতে উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মানুষ এখন মাছের কাঁটা কিনে খাচ্ছে। মুরগির বদলে মুরগির চামড়া ও ঠ্যাং কিনে খাচ্ছে। শুধুমাত্র সরকারি দলের সিন্ডিকেটের কারণে এই ভরা মৌসুমে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় না নিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার বেআইনিভাবে বাড়ানো হয়েছে, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির দাম। আর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে জ্যামিতিক হারে। বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। অথচ সচিবরা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন মাসিক মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায়।’

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন