বিজ্ঞাপন

১১ দাবিতে নোবিপ্রবির প্রধান ফটকে তালা

February 11, 2024 | 10:23 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নোয়াখালী: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটক ও শিক্ষকদের ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। একই সঙ্গে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালাও দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, ট্রেজারার কেউই ক্যাম্পাসে না থাকায় প্রক্টর অধ্যাপক মো. আনিসুজ্জামান শিক্ষক নেতাদের নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে তাদের নানা সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের কাছে যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবরই সময় ক্ষেপণ করছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। দাবি বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম— নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, না হলে শিক্ষক-কর্মকর্তারা ডাবল ডেকার বাসে যাতায়াত করবেন, শিক্ষার্থীদের মিনিবাস ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে; শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ শিথিল করতে হবে; নিরাপদ খাবারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি খাবারের দামের সঙ্গে মানের সমন্বয় করতে হবে, না হলে টিচার্স ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

দাবির মধ্যে আরও রয়েছে— আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটোরিয়ার খাদ্যে ভর্তুকি, সিজিপিএ ২ দশমিক ৭৫ পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া, যেকোনো সময় ব্যাকলগ ও মানোয়ন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ, নম্বর টেম্পারিং রোধে পরীক্ষার উত্তরপত্র থেকে আইডি নম্বর তুলে নেওয়া।

নোবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক মো. আনিছুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবির একটি কাগজ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যসহসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি শুনেছি। তারা হঠাৎ করে আন্দোলন শুরু করেছে। আমি ঢাকা রয়েছি। দাফতরিক কাজে উপাচার্য ও উপউপাচার্য ক্যাম্পাসের বাইরে রয়েছেন। ক্যাম্পাসে থাকা প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন। ক্যাম্পাসে ফিরে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করে পর্যায়ক্রমে সেগুলো বাস্তবায়নের বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন