বিজ্ঞাপন

‘শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ পাচ্ছে না’

May 23, 2018 | 9:14 pm

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘ক্রীড়াক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হল মাঠের অভাব। বড় বড় বাড়ি-ঘর বানিয়ে মাঠ দখল করার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে এ অভাব। শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই তাদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ঘটছে না। অনেক শিক্ষার্থী মাদকে জড়িয়ে পরছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দিতে হবে।’

বুধবার (২৩ মে) বিকালে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ‘৪৬ ও ৪৭ তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্রীড়া সামগ্রী, সনদ, ও চেক বিতরণের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জাতিকে আধুনিক ও উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। বর্তমানে দেশে স্কুল কলেজের জন্য ২২ হাজার বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়নে সরকার নানা ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসময় শিক্ষার্থীদের শুধু ভাল ছাত্র নয় সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ, ভাল মানুষ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুখ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৪৬তম গ্রীষ্মকালীন ও ৪৭তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী স্কুল-কলেজসমূহকে পুরস্কার ও চেক প্রদান করা হয়। বিজয়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে পুরস্কার ও চেক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল ৩৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চ্যাম্পিয়ন ও ৩০টি রানার্স আপ হয়েছে। এছাড়া প্রতিযোগিতার ফলাফল যাচাই-বাছাই করে সর্ব্বোচ্চ পয়েন্ট অনুযায়ী ১ম হয়েছে বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল, ২য় হয়েছে চট্টগ্রামের জে. এম. সেন. হাই স্কুল ও ৩য় হয়েছে নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

সারাবাংলা/টিআর/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন