বিজ্ঞাপন

১৩তম দিনে নতুন বই এসেছে ১১০টি

February 13, 2024 | 11:22 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর ১৩তম দিনে নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ১১০টি। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ৯২টি। এ নিয়ে এবারের বইমেলায় প্রকাশ হওয়া নতুন বইয়ের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ১৪৮টিতে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমাদ মোস্তফা কামাল।

প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আহমাদ মোস্তাফা কামাল বলেন, ‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ যেভাবে তার পরবর্তী প্রজন্মের লেখকদের কাছে এক অনিবার্য প্রসঙ্গ হয়ে উঠলেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। ১৯৪০-এর দশকে পূর্ব বাংলার ভিন্নতর এক কণ্ঠস্বর নির্মাণের প্রয়াস যাঁরা নিয়েছিলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তাদের মধ্যে অন্যতম। লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন তীব্র সংবেদনশীল, সচেতন, সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী এবং বহুমাত্রিক। সাদামাটা গল্প বলার ছলেই তিনি পাঠকদের নিয়ে গেছেন এক দার্শনিক উচ্চতায়, দৃশ্যমান করে তুলেছেন একটি জনগোষ্ঠীর সামষ্টিক চিন্তা-বিশ্বাস-সংস্কারের বিমূর্ত রূপ।’

বিজ্ঞাপন

আলোচকরা বলেন, জনজীবনের ভাষাকেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ তার সাহিত্যের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সমাজের ক্ষমতা ও ক্ষমতা-কাঠামোর সঙ্গে জনগণের মনোজগতের পারস্পরিক সম্পর্ক বা দ্বন্দ্বটি তার সাহিত্যে বিশেষ রূপ লাভ করেছে। সমাজের গভীরে দৃষ্টিপাত করে প্রান্তিক মানুষের সংকটকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। সমাজ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আকস্মিক ছন্দপতন তার গল্পের উপজীব্য হয়েছে।

তারা আরও বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রাসঙ্গিকতা এখানেই যে তিনি অতীতের চরিত্রগুলোর সঙ্গে আমাদের একটি নিবিড় যোগসূত্র তৈরি করে দেন।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সাহিত্যের ভেতর দিয়ে জীবনের বাস্তবতাকে তুলে ধরার নিপুণ কারিগর সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। তার সাহিত্যে তিনি সমকালীন জনগোষ্ঠীর অনুভূতির কাঠামোকে ধারণ করেছেন। ফলে, কেবল আমাদের সময়েই নয় ভবিষ্যতেও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও তার সাহিত্যকর্ম অনিবার্য এবং প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া, বইমেলার ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন নাট্যকার ও অনুবাদক খায়রুল আলম সবুজ, গবেষক আফরোজা পারভীন, কবি শিহাব শাহরিয়ার এবং শিশুসাহিত্যিক কামাল হোসাইন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি জাহিদ হায়দার, হেনরী স্বপন, শিহাব শাহরিয়ার, মতিন রায়হান, জুনান নাশিত, টিমোনী খান রিনো, সাকিরা পারভীন এবং মু. আহসান উল্লাহ ইমাম খান তমাল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী নাসিমা খান বকুল, ফয়জুল্লাহ সাঈদ এবং চন্দ্রিমা দেয়া।

এছাড়াও ছিল তুনাজ্জিনা রহমত মৌরীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গীতিকবি আনিসুল হক স্মৃতি পরিষদ’, ‘হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমি’ এবং সৌন্দর্য প্রিয়দর্শিনীর পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘প্রিয়দর্শিনী’র পরিবেশনা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন