বিজ্ঞাপন

প্রধান শিক্ষকের প্রতারণা, এসএসসিতে বসা হলো না ৬ শিক্ষার্থীর

February 15, 2024 | 8:28 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নরসিংদী: নিজ বিদ্যালয়ে নির্বাচনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি তারা। পরে নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাদের। ওই প্রধান শিক্ষক তাদের আশ্বস্ত করেন, নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিলেই তার স্কুল থেকে তিনি এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা সে অনুযায়ী টাকা দিলেও শেষ পর্যন্ত আর পরীক্ষায় বসতে পারেনি। পারবেই বা কীভাবে, ওই স্কুলের অনুমোদনের কোনো প্রমাণই যে নেই।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। ওই ছয় শিক্ষার্থী পরীক্ষারকেন্দ্রে গেলেও শেষ পর্যন্ত প্রবেশপত্র না পাওয়ায় আর পরীক্ষায় বসতে পারেনি। পরে তারা নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে ওই প্রধান শিক্ষকের কোনো হদিস নেই গত রাত থেকেই।

প্রতারণার শিক্ষার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রাহ্মন্দী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়য়ের নির্বাচনি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় ওই ছয় শিক্ষার্থী। তাদের নিজ প্রতিষ্ঠান নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর নিশ্চয়তা দেন প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রের জন্য তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নেন। কিন্তু গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তিনি প্রবেশপত্র দিতে পারেননি। পরে শিক্ষার্থীদের সরাসরি রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের উপকেন্দ্র বালুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতে নির্দেশনা দেন। বলেন, সেখানে গিয়ে প্রবেশপত্র নিয়ে তারা পরীক্ষায় বসতে পারবে।

অভিভাবকরা বলছেন, বুধবার রাত থেকেই প্রধান শিক্ষক আমিনুলের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তারপরও তারা আশ্বাস অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সব প্রস্তুতি নিয়ে বালুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র পায়নি, পরীক্ষাতেও বসতে পারেনি। পরে তারা সেখান থেকে ফিরে নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক আমিনুলের বিচার দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

ওই কেন্দ্রের হল সুপার আবু মুছা বলেন, ওই ছয় শিক্ষার্থীর কাছে প্রবেশপত্র ছিল না। সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই তাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ না পেলেও ঘটনাটি জানতে পেরেছি। বিদ্যালয়টির অনুমোদনের কোনো প্রমাণপত্র এখনো পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিও এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচাই-বাছাই করা ও সচেতনতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন