বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতারা আত্মসম্মান রক্ষার জন্য বাগাড়ম্বর করছেন: নানক

February 16, 2024 | 11:00 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়ে বিএনপির মহাসচিবসহ মুক্তিপ্রাপ্ত নেতারা এখন যে কথাগুলো বলছে, তা তাদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য তারা এখন বাগাড়ম্বর করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর টাউনহলে বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ড. এম ওয়াজেদ মিয়া’র ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এইদেশে ২০১৪-১৫ সালে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, যে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে, হরতাল অবরোধ করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করেছে, অবরোধের নামে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যাহত করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি অটুট ছিল, তারা ঐক্যবদ্ধ ছিল আর ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই মির্জা ফখরুল, আমির খসরু সাহেব আপনারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন করতে পারেননি। এই ব্যর্থতার কারণে আপনাদের তওবা করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়া উচিত। আর এদেশে যদি রাজনীতি করতে হয় তাহলে এই খুন, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার, এসব খুনের দায় স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক ভুলধারায় চলার কারণে নিশ্চিত একটি গহ্বরে নিমজ্জিত হতে হয়, এ সত্যকে তারা স্বীকার করবে কিনা আমার জানা নেই। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে যারা এভাবে অরাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন-নিপীড়ন, সন্ত্রাস চালিয়ে রাজনৈতিক যাত্রা করেছিলেন মাঝপথেই তাদের রাজনীতির রাজনৈতিকভাবে অপমৃত্যু ঘটেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে যারা বিরাট বিরাট জনসভা করতেন সেদিন তারা ভেবেছিলেন এই জনগণ তাদের জনগণ কিন্তু আসলে সেই জনগণ ছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি, বঙ্গবন্ধু বিরোধী শক্তি। সেই দলগুলো এখন নামস্বর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে।’

বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশকে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সবর্দা সচেষ্ট ছিলেন। ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার মতো সৎ, নির্লোভ একজন বিজ্ঞান-সাধক মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তিনি ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও কোনো সুযোগ সুবিধা নেননি। তিনি সর্বদা নিজস্ব বলয়ে থেকে নিজের যোগ্যতায় নিজ কর্মক্ষেত্রের পরিধিকে স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে কর্মজীবন শেষ করেছেন।’

তার আগে মন্ত্রী বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে সায়াম উর রহমান সায়াম স্মৃতি কর্নারের উদ্বোধন করেন এবং আলোচনা শেষে ড. এম ওয়াজেদ মিয়া’র রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নূরুন নবী ভোলা।

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন