বিজ্ঞাপন

অপতথ্য রোধে ইইউ’র সঙ্গে কাজ করবে সরকার

February 18, 2024 | 3:53 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অপতথ্য রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বাংলাদেশ সরকার একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, ‘অপতথ্যের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও ক্ষতির মধ্যে পড়ছে। বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা সমাধানে আন্তজার্তিকভাবে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আমরাও কাজ করব।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় ইইউ’র রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, ‘মূলত আমরা ডিসইনফরমেশন ও মিসইনফরমেশন নিয়ে আলোচনা করেছি। কীভাবে ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে এটার বিরুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারি।’

কী ধরনের সহযোগিতা পরস্পরকে করা হবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইডিয়া বিনিময় করা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা থাকবে। সমস্যা হচ্ছে, তারা যে এটার সমাধান করে ফেলেছে, তা’ও কিন্তু না। সমাধান কেউ করেনি। নতুন একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে তারাও চিন্তা করছেন, আমরাও করছি। এখানে আমরা অংশীদার হচ্ছি। পরস্পরকে সহযোগিতা করে বৈশ্বিকভাবে আমরা এর একটা সুরাহা করতে পারি কি না, সেই আলাপ হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অপতথ্য মানবসমাজকে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে দাভোসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে মানুষকে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে ঝুঁকিতে ফেলবে, তার মধ্যে সবার আগে এই প্রোপাগান্ডা ও মিস-ইনফরমেশন (ভুল তথ্য)। বিশ্বজুড়ে এই উদ্বেগটা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেমন আছে, তেমনই আমাদেরও আছে। সে ক্ষেত্রে আমরা কীভাবে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারি, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। এছাড়া আমাদের অংশীদার হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো আছেই। এগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন স্তরে সহযোগিতা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ-বিগ্রহে সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো নিয়ে একটা আলাপ হয়েছে। ইউরোপেও বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে বলে রাষ্ট্রদূত বলেছেন। আমাদের দেশেও কোথায় কোথায় আমরা ইমপ্রুভ করতে পারি, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে।’

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, ‘পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন, এটাকে রেগুলেশন, ডিসিপ্লিনে আনা দরকার। আপনারাই বলছেন— একটু রেগুলেট করতে হবে। এগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই। গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন। স্বাধীনতার নামে আমরা তো জঙ্গল বানিয়ে ফেলতে পারি না।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন