বিজ্ঞাপন

সরকার ও আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন চলবে: ১২ দলীয় জোট

February 18, 2024 | 7:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকার ও আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, সরকার অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে এবং সংসদ ভেঙে না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে বিদেশি আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও আন্দোলন চলবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।

ভারতীয় আগ্রাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করেন জোটের নেতাকর্মীরা। তাদের গায়ে ভারতের আগ্রাসন বন্ধ ও পণ্য বর্জনের আহ্বান সম্বলিত টি-শার্ট ছিল। হাতে ছিল রিস্টব্যান্ড।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির (একাংশ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন পারভেজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জাকির হোসেন, কল্যাণ পার্টির আবু হানিফ, লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, জাতীয় দলের আবুল মনসুর ভুইয়া, ছাত্র জমিয়তের আল-আদনানসহ অন্যরা।

সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, “প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের বাংলাদেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করেছে। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো গুলি চালিয়ে হত্যা করছে। বাংলাদেশকে সিকিম বানানোর চক্রান্ত চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ‘ভারত বয়কটের’ ডাক দিয়েছে। তারা কখনো বাংলাদেশকে সিকিম হতে দেবে না। আমরা সবাইকে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আগ্রাসন প্রতিরোধ করব।”

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আন্দোলন শেষ হয় নাই। নতুনভাবে সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় আগ্রাসন মানবে না। এই সরকারের আমলে বাংলাদেশের জনগণের কাঁধের ওপর দিয়ে যায় ইলিশ মাছ ও শাড়ি। বিনিময়ে তারা বাংলাদেশের জনগণের কাঁধে তুলে দিচ্ছে লাশের কফিন। এই হলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার নমুনা। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা কারও হাতে তুলে দিতে পারি না। প্রতিবেশী দেশের সরকার আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে গণতন্ত্রবিহীন সরকার বব্যবস্থা কায়েম করেছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমরা সবাই রুখে দাঁড়াব। তাদের পণ্য কিনব না।’

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন