বিজ্ঞাপন

ভর্তি ফরমের টাকা চবির তহবিলে কেন জমা হয় না— প্রশ্ন চুন্নুর

February 18, 2024 | 8:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি ফরমের টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে কেন জমা হয় না— এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের সেশনে ভর্তি ফরম বিক্রির ২৩ কোটি টাকা উপাচার্য, উপউপাচার্য, শিক্ষক ও ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেছে। এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা হয়নি। প্রতি বছর যদি এরকম হয়, তাহলে দেশটা কীভাবে চলছে, ভাবতেই পারি না! আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বলব, সত্যি হয়ে থাকলে এটি একটি গুরুতর অপরাধ, অন্যায়। দেশের মানুষকে আপনি জানান। আমি আপনার কাছে জানতে চাই, এটা কী করে সম্ভব?

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় জাপা মহাসচিব এ প্রশ্ন তোলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশন চলছিল।

চুন্নু বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর (২০২৪) ভর্তি ফর্ম বিক্রি করে ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। সার্ভিস চার্জসহ মোট আয় ২৩ কোটি টাকা। গত বছর আয় ছিল ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ফর্ম বিক্রির এই টাকা উপাচার্য, উপউপাচার্যসহ শিক্ষকরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। ছাত্রলীগও অতীতের মতো এই টাকার ২ শতাংশ ভাগ চেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীন আখতারের দ্বায়িত্বের এরই মধ্যে চার বছর পূর্ণ হয়েছে। যেকোনো সময় উপাচার্য পদে পরিবর্তন আসতে পারে। ছাত্রলীগের ধারনা, উপাচার্য পরিবর্তন হলে এই ফরম বিক্রির টাকার ভাগ পাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে যাবে। একটি দ্বায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে শিরীন আখতার আর উপাচার্যের দায়িত্ব পাচ্ছেন না, এটা অনেকটাই চূড়ান্ত। প্রশাসনও তাই ছাত্রলীগের সঙ্গে ভাগ-বাঁটোয়ারার নিয়ে আপসে যাচ্ছে না। উপাচার্য পদ নিশ্চিত না হলে উপাচার্য শিরীন আখতার আর টাকা দিতে নারাজ।

জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, ভর্তি ফরমের ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকার ২ শতাংশ চায় ছাত্রলীগ। টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩ লাখে। তারা বলেছে, আরও সাত লাখ বাড়িয়ে ৫০ লাখ দিতে হবে। চবিতে ভর্তি পরীক্ষার টাকা কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে যায় না— এটা মারাত্মক কথা। এটা কোন দেশ? এত টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা হয় না, এটা আইনের চরম লঙ্ঘন, চরম অন্যায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন