বিজ্ঞাপন

এক সপ্তাহে ৩ চুরি— রাঙ্গামাটিতে ফের সক্রিয় বাইক চোর চক্র

February 20, 2024 | 9:35 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটিতে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্র। গত এক সপ্তাহে শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপার তিনটি পৃথক স্থান থেকে তিনটি মোটরসাইকেলের চুরি ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে শহরের বাইকারদের মধ্যে। চুরি ঠেকাতে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশ বলছে, তারা সার্বিক পরিস্থিতি দেখছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনরূপা কল্পতরু কনভেনশন হলের সামনে থেকে চুরি হয় একটি মোটরসাইকেল। তিন দিনের ব্যবধানে ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বনরূপা বি এম শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে আরেকটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। সবশেষ গতকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় খোদ বনরূপা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে থেকেই চুরি হয় মোটরসাইকেল। এর বাইরেও আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির কথা জানা গেলেও সেগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বনরূপা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের বিপরীতে কৌশিক ফার্মেসির সামনে থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগার ক্রপ প্রকল্পে কনসালট্যান্ট ধনেশ্বর তঞ্চঙ্গ্যার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। ধনেশ্বর ফার্মেসির সামনে গাড়ি রেখে পাশের একটি দোকানে যান। ফিরে দেখেন তার গাড়িটি আর সেখানে নেই। রাঙ্গামাটি ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সাইফুর রহমানও ধনেশ্বরের মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার রাতে ধনেশ্বর তঞ্চঙ্গ্যা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাড়িটি রেখে যাই। ৭টা ২৫ মিনিটে এসে দেখি গাড়িটি আর নেই। থানায় এসেছি গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে, আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বনরূপা বিএম শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি গাড়িতে থাকা হেলমেট মাথায় পরে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যান। বনরূপা বিএম শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম জাহান লিটন বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, একই ধরনের ব্যক্তি মোটরসাইকেলের চুরির সঙ্গে জড়িত।’

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনরূপা কল্পতরু কনভেনশন হলের সামনে থেকে যে মোটরসাইকেলটি চুরি যায় সেটি আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মো. হান্নানের।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতেয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘শহরে চুরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগের। এই বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চুরিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা দরকার।’

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘চোর শনাক্ত করা কিংবা না ধরা পর্যন্ত মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা যায় না। আমরা মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে অবগত আছি। গত বছরের একই সময়ে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমরা সাতটি মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করেছি। আমরা সার্বিক বিষয় দেখছি। আবারও একই চক্র সক্রিয় হয়েছে কি না এবং এদের সঙ্গে নতুন করে কেউ জড়িত কি না— খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন