বিজ্ঞাপন

চবি শিক্ষকরা বিভক্ত, সমিতির সাধারণ সভা বর্জন

February 22, 2024 | 8:21 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকা শিক্ষক সমিতির সভা বর্জন করেছে শিক্ষকদের একাংশ। হলুদ দল নামে পরিচিত ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে থাকা সংগঠনটির অভিযোগ, শিক্ষক সমিতি মেয়াদোত্তীর্ণ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যাননি হলুদ দলের অধিকাংশ শিক্ষক।

পরে হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ মামুনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ এক বছর। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা আহ্বানের কোনো নৈতিক ও আইনি বৈধতা নেই।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চবি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. এমদাদুল হককে প্রধান করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় শিক্ষক সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের জন্য। এ কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এমতাবস্থায় মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করার কোনো নৈতিক ও সাংবিধানিক বৈধতা নাই। তাই, হলুদ দলের পক্ষ থেকে এ অবৈধ সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনে সাধারণ শিক্ষকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে পারিতোষিক নির্ধারণ করেছেন, সেটা সম্মানজনক নয় উল্লেখ করে হলুদ দল সেটা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।

সভা বর্জনের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হলুদ দলের এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা ভিত্তিহীন। যাকে আহ্বায়ক করে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তার পরিচয় সঠিক নয়। এই দলের প্রকৃত আহ্বায়ক হলেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী।’

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আইন অনুষদ ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে উপাচার্যের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে চবি শিক্ষক সমিতি। এ নিয়ে তারা আন্দোলনও শুরু করেন। এর মধ্যে গত সপ্তাহে তিনদিন ধরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়ান। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি পাঠান।

এ প্রেক্ষাপটে গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে আসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য। এতে ছাত্রলীগের অস্থিরতার জন্য শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের প্রভাবকে দায়ী করা হয়। এর জবাবে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতি বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থতা ঢাকতে শিক্ষকদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন