বিজ্ঞাপন

ভাষা আন্দোলন নিয়ে বই কেবল ৫টি

February 22, 2024 | 9:54 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলন স্মরণ করেই প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে অমর একুশে বইমেলা। সেই মেলাতেই ভাষা আন্দোলন নিয়ে বইয়ের সংখ্যা অপ্রতুল। বাংলা একাডেমির তথ্য বলছে, ভাষা আন্দোলন নিয়ে চলতি বছর নতুন বই এসেছে কেবল পাঁচটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন— এ ধরনের বইয়ের জন্য গবেষণার প্রয়োজন হয়, যা কম হওয়ার কারণেই ভাষা নিয়ে বইয়ের পরিমাণও কম।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের তথ্য বলছে— চলছি বছর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বই প্রকাশিত হয়েছে কেবল পাঁচটি। অথচ এ দিন পর্যন্ত নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে দুই হাজার ১৫০টি।

এ বছর ভাষা আন্দোলন নিয়ে নতুন যে পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো হলো— ভাষাসৈনিক মুর্তজা বশিরের লেখা ‘একুশের লেখা একুশের আঁকা’, বেলাল চৌধুরীর লেখা ‘একুশের ভাবনা’, বদরুদ্দোজা হারুনের লেখা ‘ভাষা শহিদ আবুল বরকত: নেপথ্য কথা’, গাজী হানিফের লেখা বই ‘২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এবং এম আব্দুল আলীমের লেখা ‘ভাষা আন্দোলনে কংগ্রেস’।

একুশে ফেব্রুয়ারির পরদিনও বইমেলায় আসা তরুণীদের অনেকের পরনেই ছিল সাদা-কালো শাড়ি। ছবি: সুমিত আহমেদ/ সারাবাংলা

কবিতা কিংবা উপন্যাসের বইয়ের আধিক্য থাকিলেও ভাষা আন্দোলনভিত্তিক বইয়ের ঘাটতির জন্য গবেষণার অভাবকে দায়ী করছেন প্রকাশকরা।

বিজ্ঞাপন

চলতি বছর ভাষা আন্দোলনভিত্তিক একটি বই পুনর্মুদ্রণ করা ছাড়া এ সংক্রান্ত নতুন বই আসেনি নালন্দা প্রকাশনী থেকে। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জুয়েল রেদওয়ান বলেন, “গোলাম কুদ্দুসের ‘ভাষার লড়াই ও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন’ পুনর্মুদ্রণ ছাড়া আমরা এ বছর এ ধরনের বই প্রকাশ করিনি।”

শেষের দিকে এসে বইমেলায় বেচাকেনা বেড়েছে। ছবি: সুমিত আহমেদ/ সারাবাংলা

অতীতে ভাষা আন্দোলন নিয়ে বই প্রকাশ করলেও এ বছর নতুন কোনো বই প্রকাশ করেনি অনন্যা প্রকাশনী। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মনিরুল হক জানালেন, কোনো পাণ্ডুলিপিই পাননি তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বছর ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত কোনো বইয়ের পাণ্ডুলিপি পাইনি। এখনকার লেখকরা এ বিষয়ে খুব কমই বই লেখেন। কারণ এর জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা ও অধ্যয়নের প্রয়োজন হয়, যার ঘাটতি রয়েছে।’

অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন নিয়ে গবেষণার অভাবই বইয়ের সংখ্যা কম হওয়ার প্রধান কারণ। এ ক্ষেত্রে গবেষণার প্রয়োজন পড়ে। এখন সেটি করতে চান না কেউ।’

বিজ্ঞাপন

বইমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। ছবি: সুমিত আহমেদ/ সারাবাংলা

এদিকে আজ বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্মরণ: আসাদ চৌধুরী’ এবং ‘স্মরণ: জাহিদুল হক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে মাহমুদা আকতার ও কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহম্মদ সামাদ।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, কবি আসাদ চৌধুরী ও জাহিদুল হক তাদের কবিতার মধ্য দিয়ে মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তাই তাদের কবিতা গণমানুষের ভাষ্য হয়ে উঠেছে।

সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন