বিজ্ঞাপন

রাতারাতি মূল্যস্ফীতি কমবে না, অপেক্ষা করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

February 25, 2024 | 4:01 pm

স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রাতারাতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে না। এটা নিয়ে কাজ চলছে, অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের ম্যানেজ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ড জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি সরকারের উদ্যোগে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর দফতরে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ড অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারসহ সংস্থাটির ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন বিশ্বব্যাংকের এমডি। সফরে বিশ্বব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, মেগা প্রজেক্ট করব কি করব না। করলে কী হবে, শুধু ক্রিটিসিজম করলে তো কোনো লাভ হবে না। এগুলো শেখ হাসিনা বানিয়েছেন ঠিক কথা। কিন্তু বানিয়েছেন তো একটা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, একটা চিন্তা নিয়ে। বর্তমান এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং জনগণ এটা গ্রহণ করেছে। জনগণ এপ্রিসিয়েট করেছে, এতো চমৎকার একটা প্রজেক্ট বাংলাদেশে এটা করা সম্ভব। এয়ারপোর্ট থেকে যে এক্সপ্রেসওয়ে এটাও কিন্তু উনারা এপ্রিসিয়েট করেছেন।

ডলার সঙ্কট এবং সেটার কারণে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। এতে প্রজেক্টের একটা দায় আছে বলে অনেকে বলেন। মূল্যস্ফীতি আপনাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এটা কমার পরিবর্তে বাড়ছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো হচ্ছে, কাজ চলছে। ওয়েট, তো করতে হবে, রাতারাতি তো হবে না। আলটিমেটলি এই ক্রাইসিসটা ম্যানেজ করতে হবে।

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ম্যানেজমেন্টের একটা কৌশল, ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করছে, কতদূর ভিকটিম হবে ওইটার মধ্যেও আবার এডজাস্টমেন্ট করতে হবে। সেগুলো তো ডে টু ডে প্রশ্ন আসবে।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ যে সমস্যাগুলো ফেস করছে এগুলো নতুন কোনো সমস্যা নয়। বাংলাদেশ এই সমস্যাগুলো যেভাবে মোকাবিলা করছে, সেটার প্রশংসা করেছেন তারা। কাজেই এরমধ্যে সন্দেহের কিছু নাই।

বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে একটা বলেছি, বিশেষ করে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চায় না তাদের সঙ্গে মিট করতে চায়, তাদের সঙ্গে তারা কথা বলতে চায়। সেজন্য আমি বলেছি, বেগম জিয়া যে কমেন্ট করেছিলেন, সেটা যে কত বড় বাতুলতা, উনি বলেছিলেন যে- আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে পদ্মাসেতু তৈরি করেছে এটা তো জোড়াতালি দিয়ে করেছে, যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেছেন যে, আপনারা উঠবেন না কারণ এটা ভেঙ্গে পড়তে পারে। কাজেই এটা একজন নেত্রী যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তার এতো বড় দল প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তিনি দাবি করেন। তার মুখ থেকে এই ধরণের কথা আমরা আশা করিনা। বিশেষ করে এটা তিনি বুঝেনই না যে, এই ব্রিজ কিভাবে তৈরি হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার যতগুলো মেগাপ্রজেক্ট করেছে সবই শেখ হাসিনার সরকারের। ২০১৭ সালে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঠাকুরগাঁও গিয়েছিলাম। তার দুদিন আগে বিএনপি মহাসচিব একটা কমেন্ট করেছিলেন- আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো উন্নয়ন হয়েছে নাকি, আমি তো কিছু দেখি না। আমি তখন ওখানে জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম, সেখানে লাখ লাখ লোক ছিল। আমি তখন বলেছিলাম, আপনাদের ছেলের কিন্তু চোখ খারাপ হয়ে গেছে। আপনারা তাড়াতাড়ি ঢাকায় নিয়ে চোখের ডাক্তারকে দেখেন। আর খুব দামি চশমা কিনে দেন যেন সব পরিষ্কার দেখতে পান। আপনার যদি চশমাটা ঠিক থাকে তাহলে তো দেখতে পাবেন। আর চশমা যদি ঠিক না থাকে তাহলে তো আমার কিছু করার নাই। ভালো ডাক্তার দিয়ে আপনার চোখটা পরীক্ষা করান এবং চশমা নিন। তাহলে চোখে সবই পরিষ্কার দেখতে পাবেন। যাদের উন্নয়ন সম্পর্কে এমন ধারণা, এটা বাতুলতা ।

অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন। এতে ওই অঞ্চলে (উত্তরা, মিরপুর) যারা থাকেন, এসব এলাকার মানুষের যে কী উচ্ছ্বাস, আনন্দ, উল্লাস। বিশেষ করে মহিলারা মেট্রোরেলে উঠে স্ট্যান্ডটা ধরে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু তাদের চোখে মুখে প্রশান্তি এবং আনন্দ- এটা পরিষ্কার। কাজেই মেগাপ্রজেক্ট সম্পর্কে অনেক কথা বলেছে তারা বিরোধী দল বা বিএনপি। কিন্তু মানুষ কত উপকৃত হয়েছে এবং কত খুশি হয়েছেন, এই জিনিসটাই আমি বললাম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/আইই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন