বিজ্ঞাপন

‘বিশেষ কিছু না খেলে রোজা রাখা যাবে না— এ মানসিকতা বদলাতে হবে’

February 28, 2024 | 9:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রমজান মাসে রোজা রাখার সময় সবাইকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, সুনির্দিষ্ট কোনো খাবার না খেতে পারলে রোজা রাখা যাবে না, এমন মানসিকতা বদলাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেখি রমজানের সময় যেন খাওয়া বেড়ে যায়। অথচ রমজান সংযমের মাস, এই মাসে সংযম করতে হবে। এখন বিশেষ কোনো একটা জিনিস না খেলেই রমজান আর হবে না, রোজা রাখা যাবে না বা ইফতার করা যাবে না— এই মানসিকতা বদলাতে হবে। আমাদের দেশে যা পাওয়া যায়, সেটা দিয়েই তো রোজা করতে পারি। এটা না খেলে চলছেই না, এরকম তো কোনো কথা নেই। অন্য সময় মানুষ যা খায় তা নিয়েই খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে আর এরকম একটা জিনিসের জন্য কান্নাকাটি শোনা যাবে না।

বুধাবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

আরও পড়ুন- বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে— সংসদে প্রধানমন্ত্রী 

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করা হয়। ব্যবস্থা নেওয়া হয়, আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তারপরও কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ালে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আপনারা ইদানীং দেখেছেন, প্রতিটি জিনিসের দাম যে একেবারেই কমেনি, তা না।

দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে ভোক্তাস্বার্থ দেখার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের স্বার্থও দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, কৃষকের উৎপদিত পণ্যের দাম যদি বেশি কমে যায়, তাহলে কৃষক ন্যায্য মূল্য পায় না। আবার দাম বেশি বেড়ে গেলে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষজন বা ভোক্তার জন্য কষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের লক্ষ রাখতে হয়, কৃষক যেন ন্যায্য মূল্য পায়, একইসঙ্গে ভোক্তারাও যেন সহনশীল দামে পণ্য কিনতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সরকার যথেষ্ট সচেতন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যত বেশি পণ্য উৎপাদন করতে পারি বা আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্য আমরা আমরা যত বেশি ব্যবহার করতে পারি, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। বাজারের ক্ষেত্রে আমি বলব— সরকার তো দেখবেই, এখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তাদেরও দায়িত্ব আছে। বাজার মনিটরিংয়ে আপনারও সবাই সহযোগিতা করলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে পারবে না। আমি জনগণের প্রতিও আহ্বান জানাব— তারাও যদি নজর রাখে, তাহলে কিন্তু কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

সংসদ নেতা আরও বলেন, আর সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি, কঠোর পদক্ষেপ নেব। ভ্রামমাণ আদালত বসিয়েও আমরা শাস্তি দিচ্ছি, গ্রেফতার করছি, মামলা করছি। কাজেই আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাই সহযোগিতা করলে আমরা সহজে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন