বিজ্ঞাপন

পরকীয়ার জেরে যুবলীগ কর্মী খুন, ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার ৫

February 29, 2024 | 7:51 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাজশাহী: পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের কর্মী জিয়াউল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৫। এ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার পাঁচজন হলেন— তানোর উপজেলার লালপুরের হাবিবুরের ছেলে হাকিম বাবু (৩৪), একই এলাকার সাইদুলের ছেলে মো. সুফিয়ান (৩৬), তালন্দো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হাসান (৪২), হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহীন (২৫) ও মৃত লুৎফরের ছেলে রাশেল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-৫ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আসামিদের বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা ও কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

র‌্যাব-৫ জানায়, তানোরে পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মীকে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হাকিম বাবু ও সুফিয়ানকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে র‌্যাব-৫, রাজশাহীর সদর কোম্পানির অভিযানে আবুল হাসান, শাহীন ও রাশেলকে কক্সবাজার জেলার সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে, তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপির বিলশহর গ্রামের সুমি খাতুনকে বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আবুল হাসান মেম্বার। আগে থেকেই সুমি খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিহত যুবলীগ নেতা জিয়াউল ইসলামের। বিষয়টি হাসান মেম্বার বুঝতে পেরে তাদের সতর্ক করেন। পরে ডিপ টিউবওয়েলের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ বেড়ে যায়। এ সব ঘটনা ঘিরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে জিয়াউলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিয়াউলের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

র‌্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হাকিম বাবু, সুফিয়ান, শাহীন, আবুল হাসান ও রাশেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

নিহত যুবলীগ নেতা জিয়াউল তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের বিলশহর এলাকার মৃত মোহর মন্ডলের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সদস্য। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেম্বর হাসান আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমি (৩৫), একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩০), আলাউদ্দিনের ছেলে সোহাগকে (২৬) গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন