বিজ্ঞাপন

রাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু, আসনপ্রতি লড়ছেন ৪৪ জন

March 5, 2024 | 9:23 am

রাবি করেসপন্ডেন্ট

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এবারের ভর্তিযুদ্ধ। চলবে সকাল ১০টা পর্যন্ত। এ বছর এই ইউনিটে ১ হাজার ৫৯৭টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭৬ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বে ৪৭ জন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চার শিফটের এই ভর্তি পরীক্ষার প্রথম শিফট সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সকাল ১০টায়। এরপর দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে শেষ হবে বেলা ১২টায়। তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা দুপুর ১টায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ২টায় এবং সর্বশেষ চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আশা করছি সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবেই ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারব। যেকোনো জালিয়াতি ঠেকাতে প্রক্টরিয়াল বডি সর্বদা তৎপর রয়েছে৷ এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সন্দেহভাজনদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আগামীকাল বুধবার (৬ মার্চ) কলা অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট এবং আগামী বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ব্যবসায় অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটেট ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা।

বিজ্ঞাপন

এ বছর বিশেষ কোটাসহ মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৪৩৮টি এবং কোটা বাদে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৯০৪টি। এই আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০টি চূড়ান্ত আবেদন জমা হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে ৭৪ হাজার ৭৮৫টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩৪ হাজার ৫৪১টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭৬ হাজার ৩৫৪টি চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। এবার একক আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৭৭টি।

এর মধ্যে পুরুষ আবেদনকারীর সংখ্যা ৯০ হাজার ৪৫৬টি এবং নারী আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৫২১টি। তবে কোটা বাদে আবেদনকারীর সংখ্যা ‘এ’ ইউনিটে ৬৯ হাজার ৫২৭টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩২ হাজার ৬১৪টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭০ হাজার ৯৭৬টি।

এর আগে, পরীক্ষায় অংশ নিতে সোমবার (৪ মার্চ) ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাম্পাসে আসেন পরীক্ষার্থীরা। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বরাবরের মতো এবারও বিকেন্দ্রীকরণ না করায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন তারা। অনেকেই যথাসময়ে বাস-ট্রেনের টিকিট না পেয়ে ভর্তি পরীক্ষার দুই-একদিন আগেই ক্যাম্পাসে আসতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভর্তি পরীক্ষার চার দিন আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে যশোর জেলা থেকে রাজশাহীতে এসেছেন ইয়াছিন আরাফাত নামের এক শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছি। আমরা তিন বন্ধু একসঙ্গেই এসেছি। এখানে আমার এক বন্ধু থাকায় চারদিন আগে এসে মেসে থাকতেছি। মূলত যাতায়াতে ভোগান্তি যেন না পোহাতে হয়, এজন্যই এতো আগে আসা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বন্ধু থাকায় আমি আগে এসে থাকতে পেরেছি। কিন্তু যার দূরদূরান্ত থেকে এসে থাকা-খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন, তাদের দিকটা বিবেচনা করা দরকার। তাই আমরা চাই, আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র বিকেন্দ্রীকরণ করা হোক।’

কথা হয় এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সমির সরকারের সঙ্গে। ঢাকার উত্তরা থেকে গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় মেয়েকে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শীর্ষ ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। একজন অভিভাবক হিসেবে চাই, আমার মেয়ে যেন এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যেকোনো একটিতে পড়ার সুযোগ পায়। এছাড়া রাজশাহী আমার খুব প্রিয় শহর। ফেইসবুকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী শহরের অনেক ভিডিও দেখেছি এবং মুগ্ধ হয়েছি। তবে বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নিলে অনেকাংশেই ভোগান্তি হ্রাস পেত।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন