বিজ্ঞাপন

ধন্যবাদ, স্যার

March 16, 2024 | 4:05 pm

পুলক বড়ুয়া

ধন্যবাদ, স্যার!

বিজ্ঞাপন

আগে স্কুলে মাস্টার মশাই
বেত নিয়ে যেতেন, এখন নিষেধ আছে।
উচ্চ শিক্ষার স্তরে
আপনি পিস্তল ব্যবহার করলেন!
খেলনা পিস্তল নয়।
ছোটদের শ্রেণিকক্ষ হলে
আপনি কী তাই করতেন?
বড়দের বলে ঠিক তার উল্টো?
সেদিন পিকনিকেও দেখলাম
গুরু-শিষ্য মিলে নাকি গলা মেলালেন
একটি বিশেষ দ্রব্যে।
আগে শুনতাম একসঙ্গে গান করতেন,
এখন শুনছি একত্রে পান করছেন!

আচ্ছা, গুলি কী বেত্রাঘাতের জায়গা নিল?
ওস্তাদের হাতে পুস্তকের বদলে পিস্তল কেন?
গুরু তো কখনো মাস্তানি করে না
মাস্তান কখনো ওস্তাদ হয়না
জ্ঞানপীঠ জঙ্গি নয়
শিক্ষা অস্ত্রমুখী নয়
দীক্ষা মারমুখী নয়
বিদ্যা গুরুমুখী।

‘আমার একটি পোষা পাখি আছে’ বলে
রীতিমত আগ্নেয়াস্ত্র বের করলেন।
ব্যবহার করলেন!
বাহ্, সাবাস! কী সুন্দর জনৈক দীক্ষাগুরুর নমুনা?
চমৎকার, হাতেখড়ি! অপূর্ব শিখন!
মুহূর্তে একটি শ্রেণিকক্ষ হয়ে যায়
ফায়ারিং স্কোয়াড।
গুলিবিদ্ধ উরু, রক্তাক্ত পা।
উড়ে যায় বইয়ের পাতা।
বর্ণমালা লাল হয়ে ফুলে
উঠল খাতার পাতায় সশব্দে।
খান খান হয়ে স্তব্ধ হয়ে যায়
টুল-বেঞ্চি, দরজা-জানালাগুলো।
আপনারই এক ছাত্রীর কানের পাশ দিয়ে
আপনার প্রাজ্ঞ-বুলির বদলে উড়ে এল
আপনারই অশিক্ষিত গুলি।
ওই শব্দে কী আপত্তিকর ইঙ্গিত-আতঙ্ক।
এই বুলেট-বিহঙ্গ, ধাতব পাখির প্রভু
একজন বদমাশ, ইতোপূর্বে
সে তাদের উত্যক্ত করত;
এমন বিস্ময়কর-অশিক্ষক অসভ্য ছিল সে।

বিজ্ঞাপন

সেভেন পয়েন্ট ফাইভ বোরের
সেই পাখিটি এখন পুলিশের হাতে বন্দী;
ওকে নিয়ে অবাধে ক্যাম্পাসে ঢুকত সে।
তার সাজানো-সাঁজোয়া পাখালীর
হামলার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, রুজু হয়েছে মামলা।

বন্দুকের নল আর
কলম যুগলবন্দী নয়;
অসি আর মসী মিলে সেতুবন্ধন হয়না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন