বিজ্ঞাপন

পুঁজিবাজারে বড় দরপতন, সূচক ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

March 18, 2024 | 5:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ফের বড়ধরনের দরপতনের কবলে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। প্রতিদিনই লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। সেইসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কমছে মূল্যসূচক। এতে করে প্রতিদিনই বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

আগের কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবারও (১৮ মার্চ) পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। ঢালাওভাবে সব থেকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান পতনের মধ্যে পড়েছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। সূচকের বড় পতনের সঙ্গে কমেছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেনের গতিও। সোমবার ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। ফলে সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা সাত কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। আর শেষ ২৩ কার্যদিবসের মধ্যে ২০ কার্যদিবসেই দরপতন দেখতে হলো বিনিয়োগকারীদের।

এর আগে, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে একই সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন ৪৯ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে যায়। আর টানা চার সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমে ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে বড়ধরনের ধস নামে শেয়ারবাজারে। সব খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৮ পয়েন্ট কমে যায়। শেষদিকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মাত্রা কমায় সূচকের পতন কিছুটা স্থিতিশীল হয়। এরপরও সবকটি সূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৩৪টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের ২৫ মে’র পর সূচকটি সর্বনিম্ন অবস্থানে অবস্থান করছে। ২০২১ সালের ২৫ মে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ হাজার ৮৮৪ পয়েন্ট ছিল। এরপর সূচকটি আর এত নিচে নামেনি।

বিজ্ঞাপন

অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৬১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৭টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন