বিজ্ঞাপন

ভাড়া বাড়াতে চায় রেলওয়ে, মন্ত্রী বললেন পরিকল্পনা নেই

March 18, 2024 | 6:55 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বে ভ্রমণে যাত্রীদের ভাড়ার ক্ষেত্রে যে রেয়াত বা ছাড় দেওয়ার নিয়ম ছিল তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর এটা তুলে দেওয়া হলে সবধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়বে। পাশাপাশি ট্রেনে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের ভাড়ার সঙ্গে বাড়তি চার্জ যুক্ত করার মাধ্যমেও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। কিন্তু রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আপাতত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। এটিকে গুজব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘জনগণ জানে কারা গুজব সৃষ্টি করে, কারা ট্রেনে আগুন দেয়, রেললাইনকে ধ্বংস করে। বিএনপির কাজই ষড়যন্ত্র করা। কিছুদিন আগে গোপীবাগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে বিএনপি। যেটা পুরো জাতি দেখেছে। যে আগুন ধরিয়েছিল সে নিজেই সব স্বীকার করেছে।’

এদিকে, যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, রেল সেক্টরে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯২ সালে ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশন ডিভিডক রেয়াত দেওয়া হয়। দীর্ঘ ২০ বছর পর ২০১২ সালে রেলওয়েতে ভাড়া বাড়ানোর সময় ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হয়। তবে সব ট্রেনে দূরত্বভিত্তিক রেয়াত রেলওয়েতে প্রচলিত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কেবল ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সবধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রে নিচে উল্লিখিত রেয়াত বলবৎ রয়েছে।

অপরদিকে, রেয়াতের একটি হিসাব দেখানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে। সেখানে বলা হয়, ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে রেয়াতের পরিমাণ (বেইজ ভাড়ার উপরে) শুন্য টাকা। ১০১-২৫০ কিমি ২০%, ২৫১-৪০০ কিমি ২৫% আর ৪০১ কিমি তদূর্ধ্ব ৩০%।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে সর্বশেষ ২০১৬ সালে বেইজ ভাড়ার ওপর ৭.২৩% ভাড়া বাড়ানো হয়। গত সাত বছরে জ্বালানির দাম ও রেলে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের মূল্য থেকে শুরু করে বেতন-ভাতা খাতে ক্রমাগত ব্যয় বাড়ার কারণে রেলওয়ের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত এক দশকে রেলের যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন হয়েছে এবং দেশের আপামর জনগণের কাছে রেল জনপ্রিয় গণপরিবহনে পরিণত হয়েছে। ফলে রেলওয়েতে যাত্রী চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। এছাড়াও বর্তমানে সড়কপথের তুলনায় রেলের ভাড়া তুলনামূলক অনেক কম। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রদত্ত দূরত্বভিত্তিক রেয়াত রহিত করা হলে আয়-বায়ের ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে। এতে রেলওয়ের রাজস্ব বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিয়ে রেল সচিব মো. হুমায়ুন কবিরকে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জেনে বলতে পারব।’

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন