অপহরণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, ৭ ভুয়া ডিবি গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

যশোর: যশোরে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণায় লিপ্ত এক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে উদ্ঘাটন করা হয়েছে এক অপহরণ মামলার রহস্য, উদ্ধার করা হয়েছে অপহরণের আলামত।

বুধবার (২০ মার্চ) দিনভর অভিযান চালিয়ে এ রহস্য উদ্ঘাটন করে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

অভিযানে গ্রেফতার সাতজন হলেন— কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা গাজীর বাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩৩), শার্শা উপজেলার টেংরালী মাঝেরপাড়া এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে পিয়াস হাসান (২৪), নাভারণ রেল বাজার এলাকার আব্দুল মতলেবের ছেলে সোহেল আহম্মেদ বাবু (৩২), গোগা গাজীবাড়ি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জল হোসেন (৩০), রাজগঞ্জ পুটখালী এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২), চৌগাছা উপজেলার জগদিশপুর গ্রামের হোসেন মোহাম্মদ গফফারের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ (২৪) ও যশোরে শহরের খড়কি বামনপাড়া এলাকার হানিফের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৮)।

যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, ঢাকায় সবজি বিক্রি করে দুই ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন ও হাবিবুর রহমান গত ১৬ মার্চ সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসটি চাঁচড়া মোড়ে পৌঁছালে অপহরণকারীরা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ওই দুই ব্যবসায়ীকে বাস থেকে নামিয়ে প্রাইভেটকারে তুলে নেন। পরে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা রেখে কেশবপুর থানা এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

ওই দুই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে যশোর ডিবি ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের শনাক্ত করে। পরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করে। দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া টাকার মধ্যে আড়াই লাখ টাকা ওই সাতজনের কাছ থেকে উদ্ধারা করা হয়।

ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার বলেন, গ্রেফতার সাতজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে তারা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় জড়িত। তারা আরও কোনো অপরাধে জড়িত জড়িত কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা যশোরের এসআই মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন তদন্ত করছেন।

সারাবাংলা/টিআর