বিজ্ঞাপন

বাগেরহাটকে পানিসংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণার দাবি

March 22, 2024 | 2:45 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বাগেরহাট: বাগেরহাটকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণার দাবিতে কলস মাথায় নিয়ে মানববন্ধন করেছেন পশুর নদীর পাড়ের শতাধিক বাসিন্দা। বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ৯টায় মোংলা উপজেলার দক্ষিণকাইনমারী এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সভাপতি মো. নূর আলম শেখ, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মোংলা টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মোংলা উপজেলার চারদিকে পানি থাকলেও কোনো খাওয়ার পানি নেই। আমরা অনিরাপদ পানি খেতে বাধ্য হচ্ছি। বাংলাদেশ পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী বাগেরহাটসহ উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

এসময় তারা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত লবণাক্ততার কবল থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ন্যায্যতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের এ গোলবৈঠকের আয়োজন করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মো. নূর আলম শেখের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মোংলা টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস রনজিত কুমার, ব্র্যাকের শফিকুর রহমান স্বপন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, প্রভাষক সাহারা বেগম, লিডার্স’র কৌশিক রায়, মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’র গীতিকার মোল্লা আল মামুন, লিডার্স’র কৌশিক, বাদাবন’র পপি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র কমলা সরকার, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী শেখ রাসেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর এলাকায় দৈনিক ৬৫ লাখ লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৯ লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দেওয়া হয়। পৌর এলাকার পাঁচ হাজার ৬০০ হোল্ডিংধারীদের মধ্যে দুই হাজার ৬০০ হোল্ডিংধারীকে পানি সাপ্লাই দেওয়া হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে তিন থেকে চারশ গ্রাহকের পানির লাইন সংযোগের আবেদন জমা পড়ে আছে পৌরসভায়। সরকারি নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পেলে পানি সংকটের সমাধান সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, সরকার উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিগত সময়ে মোংলা উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৮ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছরই উপকূলে সুপেয় পানির সংকট সমাধানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে।

পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ বলেন ২০১০ সালে সুপেয় পানি পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। সরকারকে উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে জলাধার-পুকুর খনন ও সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনইউ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন