বিজ্ঞাপন

পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা

March 23, 2024 | 9:03 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পেঁয়াজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়েছে ভারত। লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ কৃষিপণ্য রফতানিকারক দেশটি।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটানো ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। যদিও সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে রফতানিকারকরা বাংলাদেশের মতো কিছু দেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে পারতেন। এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

ভারতের ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে পেঁয়াজ রফতানি করে স্থানীয় বাজারে পড়তি মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে। কারণ ভারতে এখন পেঁয়াজের মৌসুম, ফলে পেঁয়াজের দর নিম্নমুখী। কিন্তু শুক্রবার ভারত সরকারের আদেশ বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

মুম্বাইভিত্তিক একটি রফতানি সংস্থার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, নতুন মৌসুমের ফসল থেকে ক্রমবর্ধমান সরবরাহের কারণে দরপতনের কথা বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি আশ্চর্যজনক এবং সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্র রাজ্যে। এই রাজ্যের পাইকারি বাজারে গত ডিসেম্বরে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো চার হাজার ৫০০ রুপিতে। এখন তা মাত্র ১২০০ রুপিতে নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য যে, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১৯ এপ্রিল থেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হতে চাইছেন। ফলে পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের দর বৃদ্ধির ঝুঁকি তার সরকার নিতে চায় না।

বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো পেঁয়াজের উৎপাদনের ঘাটতি মেটাতে ভারত থেকে আমদানির উপর নির্ভর করে। এই দেশগুলোতে গত ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

মুম্বাইভিত্তিক একটি রফতানি সংস্থার অন্য একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, ভারতের পদক্ষেপ প্রতিদ্বন্দ্বী রফতানিকারকদের জন্য অনেক বেশি দামে পেঁয়াজ রফতানির সুযোগ তৈরি করছে, কারণ ক্রেতাদের হাতে এখন বিকল্প নেই।

ভারত এশিয়ার বাজারে অর্ধেক আমদানি চাহিদা মেটায়। ভারত থেকে বেশ কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ আমদানি সহজ, কারণ চীন ও মিশরের মতো রফতানিকারকদের চেয়ে ভারতের সঙ্গে এসব দেশের শিপিং রুট সংক্ষিপ্ত। ফলে এসব দেশের কাছে ভারতের পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের ৩১ মার্চ রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আড়াই ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানি করেছিল ভারত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন