বিজ্ঞাপন

সেবায় ঘাটতি হলে অভিযোগ করা যায় জানেন না ইবি শিক্ষার্থীরা

March 24, 2024 | 8:14 am

আজাহারুল ইসলাম, ইবি করেসপন্ডেন্ট

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কোনো দফতরে শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত সেবা না পেলে অভিযোগ করতে পারেন অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তাদের কাছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে তারা অভিযোগ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। ফলে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৮ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। এমনটিই দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউজিসিতে পাঠানো প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত এসব প্রতিবেদন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালগুলোর সব সেবা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) চালু করেছে সরকার। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পড়লে নির্দিষ্ট সময়ে নিষ্পত্তির দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের তা নিষ্পত্তি করতে হবে। এর ইউজিসিতে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। কেননা শিক্ষার্থীরা অনেকসময় বিভিন্ন অফিসে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, একাডেমিক শাখা, আইসিটি সেল রেজিস্ট্রার দফতরসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসচারণ বা দুর্ব্যবহার করলে কিংবা শিক্ষকদের পাঠদানে অবহেলাসহ যে কোনো অভিযোগ থাকলে শিক্ষার্থীরা জিআরএস ওয়েসবাইটে অনলাইনে বা উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ইব্রাহিম খলিলের কাছে সরাসরি ফরম সংগ্রহ করে অভিযোগ করতে পারবেন। এদিকে ওয়েবসাইটে ট্র্যাকিং করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবেদনের অগ্রগতি জানতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া স্বপ্রণোদিতভাবেও অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবেন অভিযোগ নিষ্পত্তির দায়িত্বরতরা। এদিকে এই প্রক্রিয়া অনেকটা জটিল প্রক্রিয়ার এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধারণা না থাকার কারণে আবেদন জমা পড়ছে না বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান শাহরিয়ার বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে কাগজ তুলতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও খারাপ ব্যবহার করে। তাদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বললে একেকজন আরেকজনের কাছে পাঠায়।’

অভিযোগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অভিযোগের জায়গা থাকলে অবশ্যই অভিযোগ করব। এভাবে যে অভিযোগ করা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানি না।’

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনগুলোতে স্বাক্ষরকারী উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও ফোকাল পয়েন্ট ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘সেবা সংক্রান্ত কেনো অভিযোগ এলে তা নিষ্পত্তি করা আমাদের দায়িত্ব। কারণ আমাদের প্রতিমাসে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। কিন্তু সেবা সংক্রান্ত কোনো ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে না আসায় আমরা ফাঁকা ফরম ইউজিসিতে পাঠিয়ে দেই।’

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জিআরএস সফটয়্যার ব্যবহার সম্পর্কিত কয়েকটি কর্মশালায় করিয়েছিলাম। ইউজিসির সেন্ট্রাল একটি অ্যাপ আছে ওইখানে অভিযোগ করা যায়। প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। তাই কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করার জন্য। সাধারণ অনেকের ক্ষেত্রে ইউজিসির ওয়েবসাইটের ওটা চেনার কথা না। সেক্ষেত্রে নিজস্ব ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করলে শিক্ষার্থী সহজে আবেদন করতে পারবে এবং প্রতিকারও পাবে।’

আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোর্দ্দার বলেন, ‘অভিযোগ করার বিষয়টি ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করলে শিক্ষার্থীরা সহজেই অভিযোগ করতে পারবে। প্রশাসন আমাদের জানালে আমরা কার্যকরী ব্যবস্থা নেব। আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন