বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে আলোয় স্মরণ কালরাতের বিভীষিকা

March 25, 2024 | 10:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: একাত্তরের যে রাতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নৃশংস গণহত্যার সূচনা করেছিল, সেই ভয়াল কালরাতের বিভীষিকা আলো জ্বেলে স্মরণ করা হয়েছে চট্টগ্রামে। বীর ‍মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বধ্যভূমিতে গিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করেছেন। এ ছাড়া আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে কালরাতের ভয়াবহতা তুলে ধরেছে বিভিন্ন সংগঠন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বালনে অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ ও এ কে এম সরওয়ার কামাল, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।

২৫ মার্চ কালরাতের গণহত্যায় শহিদদের স্মরণে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর নগরীর নন্দনকাননে সংগঠনের কার্যালয়ের সামনে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করে। এরপর অনুষ্ঠিত সমাবেশে খেলাঘর সংগঠকরা জাতীয় গণহত্যা দিবসকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহসভাপতি দেবাশীষ রায়ের সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রীতম দাশের সঞ্চলনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য চন্দন পাল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বসু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পার্থ প্রতীম নাহা, শরণ বড়ুয়া, জয়ন্ত রাহা, সদস্য অমিত হোড়, দীপঙ্কর রুদ্র, লিটন শীল, নিউটন দত্ত বক্তব্য রাখেন।

কালরাত স্মরণে নগরীর চেরাগি চত্বরে সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালন, আবৃত্তি, গানের আয়োজন করে বোধন আবৃত্তি পরিষদ। অনুষ্ঠানে বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন বোধনের শিল্পীরা। গণসংগীত পরিবেশন করেন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের শিল্পীরা।

এদিকে বোধনের আরেক অংশ নগরীর জামালখানে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কালরাতের স্মরণ অনুষ্ঠান করে। এতে কথামালায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক হোসাইন কবির, ইদ্রিস আলী, কবি অধ্যাপক মুজিব রাহমান, বোধন আবৃত্তি পরিষদের উপদেষ্টা বাসুদেব সিনহা, সহসভাপতি সুবর্ণা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল সোহেল।

বিজ্ঞাপন

এরপর বোধনের প্রচার সম্পাদক বিপ্লব কুমার শীলের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ হাতে আবৃত্তি শিল্পীদের বৃন্দ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ভয়াল কালরাতের বিভীষিকাময় মুহূর্ত স্মরণ করা হয়। পরে বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন বোধনের শিশু বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এতে অংশ নেন— অপ্সরা বিপ্লব জুহি, ঋত্বিকা খাস্তগীর, অভিরূপ সেন, প্রাজ্ঞ রায় চৌধুরী, যুবরাজ চৌধুরী, অভিনব বড়ুয়া, দেবযানী দেবী, উদ্দীপ্তা বিশ্বাস, অরিত্র দাশগুপ্ত, অনাময় শ্রীনন চৌধুরী, মহাত্মা মুক্তি হেমা, প্রান্তিক আচার্য্য, সুহৃদ বর্ধন, অনুদীপ নাথ, ঈশান মজুমদার, দেবাজ্যোতি দে।

এ ছাড়া বড়দের বিভাগে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সুচয়ন সেনগুপ্ত, শংকর প্রসাদ নাথ, ডেজী চৌধুরী, জলিল উল্লাহ, সুহিতা দে, ত্রিতরঙ্গ আবৃত্তি দলের সভাপতি দেবাশীষ রুদ্র, কণ্ঠনীড়ের সভাপতি সেলিম রেজা সাগর, চট্টগ্রাম আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি এহতেশামুল হক ও প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের শিল্পীরা।

বিজ্ঞাপন

উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের একাংশ নগরীতে আলোর মিছিল বের করে। এরপর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহিদ বেদিতে গিয়ে প্রদীপ প্রজ্বালন করেন সংগঠনটির সদস্যরা।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন