বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতা দিবসে তালাবদ্ধ রাঙ্গামাটির শহিদ মিনার

March 26, 2024 | 1:12 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: স্বাধীনতা দিবসে রাঙ্গামাটির কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার গেইট তালাবদ্ধ থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি।

বিজ্ঞাপন

জেলা সিপিবির সভাপতি সমীর কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক অনুপম বড়ুয়া শংকর এক বিবৃতিতে ‘প্রশাসনের এক তরফা সিদ্ধান্তের’ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করে দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সিপিবি বলেছে, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পমাল্য নিয়ে শহিদ মিনারে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখা যায় প্রবেশপথ তালাবদ্ধ। প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিপিবি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী, খেলাঘরসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমমনা সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে এক প্রতিবাদ সভা হয়। এতে সভাপতিত্বে করেন সমীর কান্তি দে।

দ্রুত এক তরফা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে শহরের মধ্যস্থলে এক দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে জনগণকে শহিদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানান নেতারা। এতে বক্তব্য দেন- অনুপম বড়ুয়া শংকর, এম জিসান বখতেয়ার, মিল্টন বিশ্বাস, সৈকত রঞ্জন চৌধুরীসহ প্রমুখ নেতারা। প্রতিবাদ সভা শেষে তালাবদ্ধ গেইটের সামনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শপথ গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গামাটির কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ ফুলের ঢালা নিয়ে এসে শহিদ মিনারের গেইট বন্ধ দেখে ফিরে যান। জেলা সিপিবি ও যুব ইউনিয়ন তালাবদ্ধ গেইটের সামনের পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এবং প্রতিবাদ জানায়। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে তালাবদ্ধ শহিদ মিনারে একটি ফুলের ঢালা অর্পণ করা হয়েছে।

মূলত স্বাধীনতার ৫২ বছর পর জেলা শহরের সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে এ বছর ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস থেকেই শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু করে প্রশাসন। যদিও এবারের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বীর শহিদদের স্মৃতিস্তম্ভের আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দিবসটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি রাজনৈতিক দলসমূহকে। এছাড়া নতুন স্মৃতিস্তম্ভে এখনো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম উল্লেখসহ অন্যান্য কাজ বাকি রয়ে গেছে। তড়িগড়ি করেই জেলা প্রশাসন এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, গতকাল সোমবার (২৫ মাচ) বিকালে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. শামীম হোসেন জানিয়েছেন, নতুন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের বিষয়ে শহরে মাইকিং করা হয়েছে।

সারাবাংলা/পিডিএনআর/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন