বিজ্ঞাপন

‘সঠিকভাবে জাকাত-ফিতরা দিলে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব’

March 20, 2024 | 11:59 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সিলেট: প্রতি বছরের মতো এ বছরও সিলেট নগরী ও আশপাশের এলাকার জন্য স্থানীয়ভাবে ফিতরা নির্ধারণ করেছে জাতীয় ইমাম সমিতির সিলেট মহানগর শাখা। ‘দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাত-ফিতরার ভূমিকা ও স্থানীয়ভাবে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ’ শীর্ষক একটি সেমিনারে তারা এই ফিতরা নির্ধারণ করেছে। সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, সবাই সঠিকভাবে জাকাত ও ফিতরা দিলে এবং সেগুলো যথাযথভাবে বণ্টন করা হলে আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২০ মার্চ) বাদ জোহর সিলেট নগর ভবনের ষষ্ঠ তলায় হলরুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফিতরা পাঁচ হাজার ৬১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। জাকাতদাতাদের সুবিধার্থে বাজার মনিটরিং করে সর্বনিম্ন (রুপার দাম ধরে) এক লাখ ১০ হাজার ২৫০ টাকার ওপর হিসাব করে জাকাত দিতে হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতখার আহমদ চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির মহাসচিব শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দরগাহে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাদরাসার মুহাদ্দিস আতাউল হক জালালাবাদী, প্রধান মুফতি আবু খয়ের বিথঙ্গলী, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসাজিদের খতিব মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি মাওলানা আব্দুল মুছাব্বির, ইমাম সমিতি সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দিনসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাসুম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তরা বলেন, জাকাত ইসলামের মৌলিক বিধান। এ বিধানকে লঙ্ঘন করা মারাত্মক অপরাধ। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। অনেক দেশ জাকাতভিত্তিক ইসলামি অর্থনীতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশে প্রতি বছর সঠিকভাবে জাকাত উত্তোলন করলে বছরে ৮৬ হাজার কোটি টাকা জাকাত উত্তোলন হবে, যা দেশের মূল বাজেটের বড় একটি অংশ।

তারা আরও বলেন, জাকাতের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অল্প দিনেই দেশকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা সম্ভব। নামাজ ও জাকাত ইসলামি সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম। বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে নামাজের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা না থাকলেও সামাজিক বা মহল্লাকেন্দ্রিক মসজিদ পরিচালনা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। একইভাবে মহল্লা, এলাকা বা ইউনিয়নকেন্দ্রিক জাকাত তুলে তা সঠিকভাবে বিতরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারলে সমাজ থেকে বেকারত্ব দূর হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুস শহিদ, মাওলানা আহমদ হোসাইন, মাওলানা নূর আহমদ কাসেমী, মাওলানা শাহ আলম, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা এখলাছুর রহমান, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা ছুহাইব আহমদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল্লাহ শাহজাহানসহ নগরীর ৪২ ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন