বিজ্ঞাপন

সেহরি-ইফতারে গলা কাটছে যাত্রাবিরতি রেস্টুরেন্টগুলো

March 30, 2024 | 3:00 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের সড়ক, রেল ও নৌ-পথে যাতায়াতের সময় পথিমধ্যে অনেকেরই সেহরি ও ইফতারের সময় হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই যাত্রাবিরতি রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষ খাবার যায়। আর এই সুযোগে রেস্টুরেন্টগুলো গলাকাটা দামে সেহরি ও ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটির দাবি, ৮০-৯০ টাকা মূল্যমানের ইফতারির দাম রাখা হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা। আবার সেহরিতেও মাছ ও মাংসের দাম কয়েকগুণ বেশি রাখা হচ্ছে। এতে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করে সংগঠনটি।

সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সড়ক পথে দূরপাল্লার যাতায়াতে মাঝপথে বাস কোম্পানির পক্ষ থেকে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি রেস্টুরেন্টগুলোতে বাসের যাত্রীদের সেহরি ও ইফতারি করতে হয়। দেখা যাচ্ছে, ইফতারিতে একটি পেয়াজু, একটি বেগুনি, এক পিস জিলাপি, একটি বা দুইট খেজুর, একটি আলুর চপ, ৫০ গ্রাম মুড়ি, ৫০ গ্রাম ছোলা, একটি ছোট সাইজের কলা অথবা এক পিস চার ভাগের এক অংশ আপেল, এক গ্লাস সরবত, ২৫০এমএল এক বোতল পানি সরবরাহ করে থাকে।

বিজ্ঞাপন

এসব ইফতারি যেকোন সাধারণ রেস্টুরেন্ট থেকে কিনতে সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ টাকা লাগলেও কুমিল্লা, লোহাগড়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জের যে কোন হাইওয়ে বিরতি রেস্টুরেন্টগুলোতে এইরকম ইফতারির প্লেট প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হারে মূল্য আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যেসব কোম্পানির বাস যেসব রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতিদেয় ঐসব রেস্টুরেন্টগুলোর সঙ্গে বাস কোম্পানির বড় অংকের বাৎসরিক কমিশন বাণিজ্য রয়েছে। এছাড়াও বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারিসহ কোম্পানির অন্যান্য স্টাফরা এসব রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন বিনামূল্য খাওয়া দাওয়া করেন। এসব কারণে রেস্টুরেন্টগুলো যাত্রীসাধারণের কাছে পরিবেশিত প্রতিটি খাবারের গলাকাটা মূল্য আদায় করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেহরিতে ছোট ছোট পাঁচ পিস গরুর মাংস এসব হোটেলে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তিন পিস মাংস থাকলে এক পিস হাড্ডি, এক পিস চর্বি থাকে। ২৫০ গ্রাম সাইজের এক পিস তেলাপিয়ার দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম সাইজের রুই ২৫০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনে দুই পিস পাবদা ২০০ টাকা হারে মূল্য আদায় করা হচ্ছে।

অধিকাংশ রেস্টুরেন্টে কেউ এক প্লেট ভাত খেলেও তিন প্লেট ভাতের বিল আদায়ের অপকৌশল হিসেবে জন প্রতি ভাতের বিল ৫০/৬০ টাকা হারে আদায় করছে। দেড় কাপের সমপরিমাণ পাতলা ডালের মূল্য ২০ টাকা আদায় করছে যা এক প্লেট ভাত কোনোরকমে ভেজানো যায়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনে যাত্রীদের সেহরি ও ইফতারির মূল্য তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি কোচে লাগানো এবং রশিদ প্রদান করে মূল্য আদায়ের নিয়ম লঙ্ঘন করে ইচ্ছেমতো মূল্য আদায় করছে রেল কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত বেসরকারি ইজারাদাররা।

নৌ-পথের বিলাশবহুল লঞ্চের ক্যান্টিনগুলোতে পরিবেশিত সেহেরি ও ইফতারির গলাকাটা মূল্য আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ যাত্রীদের সেহেরি ও ইফতারির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন