বিজ্ঞাপন

সাভারে তেলের লরি উলটে আগুন: বার্নে মৃত্যু আরও একজনের

April 3, 2024 | 12:37 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকার সাভার হেমায়েতপুরে তেলের লরি উলটে আগুনের ঘটনায় হেলাল উদ্দিন (৪০) নামে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনাটিতে তিনজন প্রাণ হারালেন। এ ঘটনায় আরও সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মৃত্যু হয়েছে হেলাল উদ্দিনের।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হেলালের শরীরের শতভাগই পুড়ে গিয়েছিল। এইচডিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সেখানেই রাতে তার মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন- হেমায়েতপুরে তেলের লরিতে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭

বিজ্ঞাপন

ডা. তরিকুল আরও বলেন, এ ঘটনায় হাসপাতালে আরও সাতজন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের অবস্থাও গুরুতর।

মৃত হেলালের মামা শাহ আলম জানান, হেলালের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ছোট গড়িচান্না গ্রামে। বাবার নাম জয়নাল শিকদার। পেশায় তিনি ট্রাকচালক। বরগুনা থেকে ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে গাজীপুর যাচ্ছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন হেলাল।

এর আগে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। দগ্ধ ৯ জনকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগেই মৃত্যু হয় ফল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের (৪৫)।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- তেলবাহী লরি উল্টে ৫ গাড়িতে আগুন, মৃত্যু ১

দগ্ধ বাকিদের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির চালক আব্দুস সালামের শরীরে ৫ শাতংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্ট বহনকারী গাড়ির চালক আল আমিনের শরীরের ১৫ শতাংশ, একই গাড়ির শ্রমিক মিলন মোল্লার শরীরের ৪৫ শতাংশ, ফল ব্যবসায়ী আল আমিনের শরীরের ১০ শতাংশ ও তার মেয়ে ১০ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থী মিমের শরীরের ২০ শতাংশ, ফল ব্যবসায়ী নিরঞ্জনের শরীরের ৮ শতাংশ ও সাকিব নামে একজনের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিগত গাড়িচালক আব্দুস সালাম জানান, তিনি হেমায়েতপুরে সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে ঢাকার দিকে ফিরছিলেন। জোড়পুল এলাকায় তেলের লরিটি দুর্ঘটনার পর রাস্তার ওপর উলটে ছিল। লরিটি থেকে তেল গড়িয়ে রাস্তায় পড়ছিল। পাশ দিয়ে অন্য গাড়িগুলো ধীরগতিতে পার হচ্ছিল। হঠাৎ সেখানে আগুন ধরে গেলে লরির আশপাশে থাকা অনেকগুলো গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

আব্দুস সালাম বলেন, আমার গাড়িতে কোনো যাত্রী ছিল না। আমি একাই ছিলাম। হঠাৎ গাড়িতে আগুন ধরে গেলে দৌড়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। কিন্তু এর আগেই মাথার এক পাশে ও পায়ে আগুন লেগে যায়। পরে সবাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন