বিজ্ঞাপন

ঈদের আগে ফুটপাতে বসার দাবিতে হকারদের বিক্ষোভ

April 3, 2024 | 7:10 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন উচ্ছেদ হওয়া হকারেরা। এসময় প্রায় দেড় ঘণ্টা যানবাহলে চলাচল বিঘ্নিত হয়। বুধবার (৪ এপ্রিল) বিকেল তিনটা থেকে নিউমার্কেট এলাকার বিপণী বিতান মোড় ও আমতল মোড়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে হকারদের।

বিজ্ঞাপন

বিপণী বিতান মোড়ে অবস্থান নেওয়া চট্টগ্রাম হকার্স লীগের সভাপতি প্রবীন কুমার ঘোষ সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সুযোগ দেওয়া হোক, এটাই আমাদের দাবি। কিন্তু সিটি করপোরেশন মেয়রের একান্ত সচিব যিনি আছেন তিনি জামায়াতের লোক। তার পরিবার এ এলাকায় জামায়াতের রাজনীতি করে। এখানে যারা হকার আছে সবাই মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী। সামনে যাতে আমরা ঈদ করতে পারি সেটাই আমাদের দাবি। ঈদের আগে আমাদের বসতে দেওয়া হোক।’

বিক্ষোভ সমাবেশে মো. ইদ্রিস নামে এক হকার বলেন, ‘আমরা হকারি করি, কম পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করি। ২৩ রমজান চলে যাচ্ছে অথচ আমরা এখনও দোকানদারি করতে পারছি না। আমরা যারা ব্যবসা বাণিজ্য করি, এ টাকাগুলো সুদ করে এনেছি। জিনিসপত্র বেশি দামে কিনে বিক্রির জন্য সংগ্রহ করেছি। এ সংগ্রাম কারও ব্যক্তিগত সংগ্রাম না। এটা রুটি রুজির সংগ্রাম।’

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আমাদের নামে যে মামলা দিয়েছিল সেটার জামিন নিতে আমরা কয়েকজন নেতা হাইকোর্টে এসেছি। চট্টগ্রামে আমাদের হকার ভাইয়েরা রাস্তায় আন্দোলন করছে। আন্দোলন করতে আমাদের বাধ্য করতে হচ্ছে। হকারদের কোনোরকম পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে, যেটা লাখ লাখ মানুষের পেটে লাথি মারার সামিল। সিটি করপোরেশনের মানবতা নেই বলে এ কাজ করতে পেরেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘পুনর্বাসন সবাই বলে। কিন্তু কেউ করে না। ৫০ বছরেও হকারদের কেউ পুনর্বাসন করতে পারেনি। এটা এখন স্বপ্নের মতো সোনার হরিণ। আমরা স্বীকৃতি চাই। হকারদের জন্য একটি জাতীয় হকার নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক। সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। দেশের এক কোটি মানুষ এ হকার ব্যবসা করে। পছন্দ না হলে বা দল না করলে যে উচ্ছেদ করে দিতে হবে এ নীতি আমরা মানি না।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে নতুন রেলস্টেশন, রিয়াজউদ্দিন বাজার, পুরাতন রেলস্টেশন, ফলমণ্ডি, তামাকমুণ্ডি লেইন ও আমতলসহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে হাজারেরও বেশি হকার উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন। এসব এলাকার ফুটপাত থেকে সড়কের একাংশ দখলে নিয়ে এসব হকার পোশাক, মোবাইল, জুতা, তৈরি খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছিল। ফুটপাত ও সড়কে বিভিন্ন অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কারণে এসব এলাকায় নিয়মিত যানজট লেগে থাকতো।

বিজ্ঞাপন

উচ্ছেদ অভিযানের সময় হকাররা বিক্ষোভ করেছিলেন। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নিয়ে হকাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পর দিন হকারদের কেউ কেউ আবারও বসতে চাইলে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন।

এরপরও হকাররা সড়ক ও ফুটপাতের বিভিন্ন অংশ দখলে নিতে শুরু করলে ১২ ফেব্রুয়ারি ফের অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। এসময় হকারদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় সিটি করপোরেশনের যানবাহন। পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় হকারদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।

সারাবাংলা/আইসি/এমও

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন