বিজ্ঞাপন

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রী চাপ, যান চলাচলে ধীরগতি

April 9, 2024 | 10:47 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

গাজীপুর: শিল্প-কারখানা অধ্যুষিত গাজীপুরে কলকারখানা ঈদের ছুটি হওয়ার পর পরই বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। ফলে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজট না থাকলেও অনেকটাই ধীরগতিতে চলছে যান। এদিকে পরিবহনের সংকট থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। এতে করে ট্রাক-পিকআপেও বাড়ি ফিরছেন অনেক যাত্রী।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের চাপে প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ গাড়ির সারির সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের গতি বাড়াতে এবং চাপ কমাতে সড়কে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিকে হঠাৎ করে যাত্রীদের ঢল নামায় যানবাহনের সংকট তৈরি হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও যানবাহন না পেয়ে নারী, শিশুসহ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

অনেকই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মহাসড়কের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও যানবাহন পাচ্ছেন না। অনেকে নিরুপায় হয়ে খোলা পিকআপ ও ট্রাকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

স্টেশন রোডে সড়কের পাশে বসে আছে মামুন সরকার। তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছিলাম। সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়ে গাড়ির জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। কিন্তু এখানে তো দেখি আমার আগে হাজার হাজার মানুষ এসেছে।’

গাজীপুরা এলাকায় পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সাইফুল ইসলাম জুয়েল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু গাড়িতে উঠতে পারছি না। পরিবহন শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছেন। এটা আমাদের কাছে অনেকটা জুলুম মনে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

নেত্রকোনাগামী শাহজালাল পরিবহনের চালক হোসেন সিকদার বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে টঙ্গী থেকে গাজীপুরা পার হতে। এই জ্যাম পার হয়ে যাত্রী নামিয়ে আজ ঢাকায় আসা খুবই কষ্টকর। ঢাকা ফেরত আসার সময় কোনো যাত্রী নেই। খালি গাড়ি নিয়ে আসতে হয়। তাই শুধু তেল খরচ উঠানোর জন্য কিছু টাকা বাড়তি নিচ্ছি।’

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কারখানা ছুটি হওয়ায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ফলে চন্দ্রায় যানবাহনে ধীরগতি আছে। বিকেলের মধ্যেই চাপ কমবে বলে মনে হচ্ছে। ইদযাত্রা স্বাভাবিক করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় রেকার মোতায়েন করা রয়েছে।

সারাবাংলা/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন