বিজ্ঞাপন

বর্ণিল আয়োজনে সারা দেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

April 14, 2024 | 6:57 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: আজ ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার বাংলায়। তাই পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের যেন শেষ নেই বাঙালির।  শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বৈশাখী মেলা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে সারা দেশে বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিস্তারিত জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে—

চুয়াডাঙ্গা: সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি.জে.) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও পুলিশ সুপার আর.এম.ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন মুক্তমঞ্চ মাঠে এসে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

এ শোভাযাত্রায় ব্যক্তি, পরিবার, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেন। মুক্তমাঠে তিন দিনব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক মেলার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এরপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কর্মসূচি পালিত হয়। সরকারি শিশু সদন, সদর হাসপাতালে এবং জেলা কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। বৈশাখ সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চিত্রাংকন, আবৃত্তি, দেশাত্ববোধক গান ও যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বৈশাখ সকাল ১০টায় একই স্থানে রচনা প্রতিযোগিতা ও বেলা ১১টায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে মাটির ঘর, পুতুল, নৌকা, আলপনা ও কাগজের ঘুড়ি তৈরি প্রতিযোগিতা হবে।

বিজ্ঞাপন

নড়াইল: সকাল ৭টায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সুলতান মঞ্চে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পরিবেশনায় প্রভাতি সংগীত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন বর্ষকে বরণ শুরু হয়। পরে সকাল ৮টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান, সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম, স্থানীয় সরকার বিভাগ নড়াইলের উপ -পরিচালক জুলিয়া শুকায়না, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা আনসার কমান্ডার বিকাশ কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) শাশ্বতী শীল,নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগ, নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডুসহ অতিথিরা।

পরে ঐ স্থান থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ঢাক, ঢোল,কাসর বাজিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে সজ্জিত একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা ও হাড়িভাঙ্গা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: বাঙালির জীবনের নতুন একটা বছরের প্রথম দিন। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে প্রাণের স্পন্দন ফিরে পেয়েছে সবাই। অসাম্প্রদায়িক বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। ‘নব আনন্দে জাগো আজি রবিকিরণে, শুভ্র সুন্দর প্রীতি উজ্জ্বল নির্মল জীবনে’ স্লোাগানে যেখানে অংশ নেয় আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা সবাই।

বিজ্ঞাপন

বর্ষবরণ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের সামনে শোভাযাত্রার শুভ সূচনা করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু মঞ্চের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

কক্সবাজার: বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বরণ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা।

সকালে শহীদ দৌলত ময়দানে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচীর শুভ সূচনা হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখের গান এসো হে বৈশাখ।

এরপরে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের নেতৃত্বে বের করা হয় এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।

বরিশাল : বাংলা বছরের প্রথম দিনটিকে বরণ করতে বরিশালে নানা আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন, উদীচী ও চারুকলা। প্রভাতী অনুষ্ঠান ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় দিনের শুরু হয়। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চারুকলার আয়োজনে রোববার সকালে নগরীর বি এম স্কুল মাঠ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় কবুতর, ঘোড়া, টেপা হাতি, পালকি, ময়ূরপঙ্খী, রাজপাখা, সূর্যমুখী ফুলসহ বিভিন্ন মুখোশ দেখা গেছে।

পরে অশ্বিনী কুমার হলে শিশুদের নিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সিটি কলেজ মাঠে লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মকে মুড়ি ভাজার দৃশ্য ও মুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

উদীচী বরিশালের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন বলেন, বর্ষবরণ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় প্রভাতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে চারুকলার আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া হয়। শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টায় বিএম স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সেখানে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে সকাল ৯টায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়। শোভাযাত্রায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে সার্কিট হাউজের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এতিহ্যবাহী পুতুল নাচের আয়োজন করা হয়।

কুয়েট: নববর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে ‘গানে গানে বর্ষবরণ’ সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তৃতা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার ও রোকেয়া হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট সুহেলী শায়লা আহমেদ।

সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালযের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সম্মুখ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ফুলবাড়ীগেট, খুলনা-যশোর মহাসড়কসহ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে অডিটরিয়ামের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

মুন্সীগঞ্জ: ঋতু পরিক্রমায় পুরনো দিনের জীর্ণতা শেষে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মুন্সীগঞ্জ নানা আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপনে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুন্সিগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন এসে শেষ হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয় পুরো এলাকা।

পটুয়াখালী:

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৮টায় পিডিএস মাঠ থেকে জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে। পরে এটি ডিসি স্কয়ার মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া সকাল ৭টায় শহীদ আলাউ‌দ্দিন শিশুপা‌র্কে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, প্রভা‌তি সাংস্কৃ‌তিক অনুষ্ঠান ও মঙ্গল শোভাযাত্রা করে দ‌খিনা খেলাঘর আসর।

সকাল সাড়ে ৮টায় লোকজ মেলার শুভ উদ্বোধন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ হয় ডিসি স্কয়ারে। ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। লোকজ মেলার শেষ দিন অর্থাৎ ২০ এপ্রিল বিকেল ৩টায় ১লা বৈশাখ উপল‌ক্ষে পটুয়াখালী ব্রিজ থে‌কে পটুয়াখালী লঞ্চঘাট পর্যন্ত নৌকা বাইচ প্রতি‌যো‌গিতা অনু‌ষ্ঠিত হ‌বে।

যশোর: যশোরে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সঙ্গীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে বঙ্গাব্দ-১৪৩১ বরণ করে নেওয়া হয়েছে। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশেই পালন হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ।

সকাল ৬টায় যশোর নবকিশালয় স্কুল প্রাঙ্গণে এসো হে বৈশাখ সঙ্গীত দিয়ে সূচনা করে বিবর্তন যশোর। এরপর সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে যশোর পৌরপার্কে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে শুরু হয় বৈশাখি বন্দনা। অনুষ্ঠানে কবিগান, পালাগান, পঞ্চকবির গান, আধুনিক গান, লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য, বাউল গান পরিবেশন করে সংগঠনের দুইশ’ কর্মী।

এছাড়া তির্যক আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে ও সুরবিতান টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর বাইরে জেলার ৩০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন  অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এরপর সকাল সোয়া ৯টার দিকে যশোর টাউন হল মাঠ থেকে সম্মিলিতভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌরমেয়রসহ বিভিন্ন রাজনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় বড় বড় পুতুলসহ বিভিন্ন মুখোশ ও ঘোড়ারগাড়িসহ গ্রামবাংলার চিরায়ত বিভিন্ন সামগ্রী বহন করা হয়। বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠান সব বয়সের নারী-পুরুষ অংশ নেন। এ উৎসব দেশে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের মধ্যে সম্প্রতির বন্ধন সৃষ্টি করবে এমনটা আশা তাদের।

ময়মনসিংহ: পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

সকাল ৯টায় নগরীর মুকুল নিকেতন স্কুল থেকে বিশাল বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত। এসময় রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভ‚ঞাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নগরবাসীর নজর কাড়তে মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবহমান গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।

নরসিংদী:

নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে নরসিংদীবাসী মেতে উঠে উৎসব আর আনন্দ আয়োজনে। সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে বার্ণাঢ্য এক মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে(পলাশতলায়) অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম-বাংলার আবহমান নানা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড.বদিউল আলম, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালিব পাঠান প্রমুখ।

মাগুরা:

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি মাগুরা নোমানী ময়দান থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন। জেলা প্রশাসক এর নেতৃত্ব দেন।

পরে নোমানী ময়দানে দিবসটির গুরত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিস্তারিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা যৌথভাবে এর আয়োজন করে।

টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যান থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দেশত্ববোধক গান, নৃত্য ও শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক প্রমুখ।

রংপুর:

বর্ণিল আয়োজনে রংপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ এই প্রতিপাদ্যে সারা দেশের মতো উত্তরের জেলা রংপুরে নববর্ষের দিনে নগরবাসীর মাঝে ছিলো বাঁধভাঙ্গা উল্লাস। ঈদ আনন্দের আমেজ কাটতে না কাটতেই বাংলা ‌নতুন বছর ১৪৩১ বঙ্গাব্দ আয়োজনে মেতে উঠেছে বিভাগীয় নগরী রংপুর।

বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে সকাল ১০টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠ থেকে রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ অংশ নেওয়া বিভিন্ন বয়সী মানুষের উচ্ছ্বাস আর বাহারি পোশাক পরিধান, নাচ-গান, হইহুল্লোড়ে তৈরি হয় অন্যরকম আমেজ। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সব পেশার মানুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

পরে বৈশাখী বটতলা মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই রংপুরবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম রশিদুল হক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতারা। আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। এরপর সেখানে শিশু-কিশোরসহ বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন।

এদিকে নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকাল ৭টা থেকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রংপুরের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শতকণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিক পরিবেশনা শুরু হয়। রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা বৈশাখের গান, আবৃত্তি, নৃত্য ও নাটিকা পরিবেশনের মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। রাত পর্যন্ত এই আয়োজন চলবে।

এ ছাড়া রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বর্ষবরণের নানা আয়োজন করা হয়।

কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামের উলিপুরে নতুন বছর বরণ করতে চিরায়ত বাংলার বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও র‌্যালি করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। সকালে উলিপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান র‌্যালি নিয়ে জড়ো হয় মহারানি স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

পরে সেখান থেকে সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে উলিপুর পৌর শহর ঘুরে কাছারী পুকুর প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনার ও বিজয় মঞ্চ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়।

এ সময় বিজয় মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। জাতীয় সংগীত থেকে শুরু করে উৎসবমুখর পরিবেশে একক ও দলীয় সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, নাচসহ নানা ধরনের পরিবেশনায় মেতে ওঠে সর্বস্তরের মানুষ। শহিদ মিনারসংলগ্ন মাঠে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বেশ কিছু স্টলও বসেছিল।

সারাবাংলা/একে/এনইউ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন