বিজ্ঞাপন

ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে ফিরছে মানুষ

April 16, 2024 | 12:41 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঈদের ছুটির পর মানুষের ঢল নেমেছে মহাসড়কে। বাসে টিকিট না পেয়ে ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত পরিবহনে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। জীবিকার প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষকে অনিরাপদে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা, সিডস্টোর, মাওনা, রাজেন্দ্রপুর এলাকার মহাসড়কে এই চিত্র দেখা যায়।

এদিন সকাল ১০ টায় ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, বাসের অপেক্ষায় সড়কে বহু যাত্রী অপেক্ষা করছেন। বেশিরভাগ বাস পূর্ণ হয়ে আসছে। কোনো বাসেই সিট খালি নেই। বাসের ভাড়াও ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বাসে জায়গা না পেয়ে পিকআপে উঠতে দেখা গেছে ঢাকাগামী যাত্রীদের।

এর আগে ঈদযাত্রাতে এভাবে ট্রাক-পিকআপে করে ঝুঁকি নিয়ে যেতে দেখা গেছে যাত্রীদের। স্বল্প আয়ের কর্মজীবীরা ঈদের যাত্রায় বাড়তি দামে বাসের টিকিট কিনতে না পেরে এসব যানবাহন বেছে নিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সুমন নামে এক বাসযাত্রী সারাবাংলাকে বলেন, আধা ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছি। কোনো বাসে সিট খালি নেই। ভালুকা থেকে এমনিতে ভাড়া ১৫০ টাকা। কিন্তু এখন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাবি করছেন হেল্পাররা।

পিকআপে করে ঢাকায় ফিরছেন গার্মেন্টস কর্মী হালিমা। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, বাসে সিট নেই। পিকআপ খোলামেলা। বাতাস লাগবে। তাই পিকআপে উঠেছি। পিকআপেও ঢাকার ভাড়া ১৫০ টাকা দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মাওনা বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। তবে বাস নেই। সেখানে পিকআপে যাত্রীদের উঠতে দেখা গেছে। এই মহাসড়কের প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডের চিত্র একই। মহাসড়কটিতে প্রায় বাসের সম সংখ্যক পিকআপ ও ট্রাকে করে যাত্রীদের ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। মাওনা ও রাজেন্দ্রপুর এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের টহল লক্ষ্য করা গেলেও পিকআপ ও ট্রাকে করে যাত্রী পরিবহনে কোনো বাধা দিতে দেখা যায়নি।

এদিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তায় গাড়ির জটলা দেখা গেছে। গাড়ির তেমন চাপ না থাকলেও বাস থেকে যাত্রী নামানোয় সেখানে থেমে থেমে জটলা তৈরি হচ্ছিল।

তবে রাজধানীর ভেতরে গাড়ির তেমন কোন চাপ নেই। এখনও ছুটির আবহ বিরাজ করছে। কোথাও তেমন কোন যানজট তৈরি হয়নি। উত্তরা, এয়ারপোর্ট, মহাখালী, ফার্মগেট ও বিজয়স্মরণী মোড় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

২০২৪ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, গত ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল আজহার নির্ধারিত সরকারি ছুটি ছিল। তবে এই ছুটির আমেজ শুরু হয়েছে আগের বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) থেকে। কারণ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ও শনিবার (৬ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটির পর দিন রোববার (৭ এপ্রিল) শব-ই কদরের সরকারি ছুটি। মাঝে সোমবার (৮ এপ্রিল) এবং মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দু’দিন বাদে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঈদের ছুটি।

শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ। সে হিসেবে যারা ৮ ও ৯ এপ্রিল ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন তারা এবারের ঈদের টানা ৯ দিন ছুটি পেয়েছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন