বিজ্ঞাপন

ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বেড়েছে

April 16, 2024 | 1:26 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চার জনের জামিনের মেয়াদ আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ মে অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি ড. ইউনূস এবং নূরজাহান বেগমের বিদেশে যাওয়ার বিষয়টিও আদালতকে অবহিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

বিজ্ঞাপন

এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

বিজ্ঞাপন

এই রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসসহ চার জন। পরে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ৩ মার্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন।

মামলার অপর তিনজন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন।

মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শকের করা এই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

ওই রুলের ওপর গত ৬ মার্চ শুনানি শুরু হয় এবং ১৪ মার্চ শুনানি শেষে আদালত ১৮ মার্চ রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেন।

গত ১৮ মার্চ কয়েকটি দিক বিবেচনায় রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্তকরণ (কনভিকশন) আপিল নিষ্পত্তি না পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে রায় দেন।

তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার দণ্ড বা সাজার রায় আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে অর্থ দণ্ডও স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে আদালতকে অবহিত করার আদেশও স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন।

রায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিদেশে যেতে হলে আদালতকে অবহিত করে বিদেশ যেতে বলা হয়েছে। রায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করা হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন