বিজ্ঞাপন

প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে সেমিতে ডর্টমুন্ড

April 17, 2024 | 3:00 am

স্পোর্টস ডেস্ক

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে এসেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবুও স্বপ্ন দেখছিল সেমিফাইনালে খেলার। কেননা ফিরতি লেগ যে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে। যেখানে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে সেমিতে জায়গা করে নিল জার্মান ক্লাবটি। তবে কেবল দ্বিতীয় ম্যাচের ফলাফলেই প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখেনি ডর্টমুন্ড সেই সঙ্গে ঘরের মাঠের ম্যাচেও লিখেছে প্রত্যাবর্তনের ভিন্ন এক গল্প।

বিজ্ঞাপন

দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে সেমি নিশ্চিত করেছে বরুশিয়া। যেখানে ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ভাবে ফিরে আসে অ্যাটলেটিকো। ২-২ গোলে সমতায় ফেরা অ্যাটলেটিকো তখন সেমিতে খেলার স্বপ্ন দেখছিল। তবে বরুশিয়া তখনও হার মানতে নারাজ। ৭১ ও ৭৪ মিনিটের গোলে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। আর শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে জার্মান ক্লাবটি।

স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন মার্সেল সাবিৎজার, একটি করে ইয়ান মাটসেন ও নিকলাস ফুলক্রুগ। অ্যাটলেটিকোর হয়ে একটি গোল করেন অ্যাঞ্জেল কোরেয় আর, অন্যটি আত্মঘাতী।

ইউরোপ সেরার মঞ্চে এ নিয়ে চতুর্থবার সেমি-ফাইনালে খেলবে ডর্টমুন্ড, ২০১৩ সালের পর প্রথমবার। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। এদিনই আরেক কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারিয়েছে লুইস এনরিকের দল।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে ডর্টমুন্ড। ছয় গজ দূরে বল পেলেও শট নিতে বেশি দেরি করেন সাবিৎজার। সেই সুযোগে ছুটে এসে দুর্দান্ত এক ব্লক করেন সেসার আসপিলিকুয়েতা। দুই মিনিট পর অ্যাটলেটিকোকে হতাশায় ডুবান আলভারো মোরাতা। প্রতি আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন একটু পিছিয়ে পড়া সাবিৎজার। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোরাতা। শট লক্ষ্যেই রাখতে পারেননি তিনি।

শুরু থেকে অ্যাটলেটিকোকে বেশ চাপে রাখা ডর্টমুন্ড এগিয়ে যায় ৩৪তম মিনিটে। মাটস হুমেলসের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি বক্সে পেয়ে যান হুলিয়ান ব্র্যান্ডট। সামনে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় থাকলেও তাদের মাঝ দিয়েই জাল খুঁজে দেন জার্মান মিডফিল্ডার। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাটসেন। সাবিৎজারের কাছ থেকে বল পেয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন ডাচ ডিফেন্ডার। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ডর্টমুন্ড।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। শুরুতে ডর্টমুন্ডের আত্মঘাতী গোলে ঘুচে যায় ডর্টমুন্ডের এগিয়ে থাকার ব্যবধান। ৪৯তম মিনিটে কর্নার থেকে মারিও এরমোসোর হেড ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন হুমেলস। ৫৪তম মিনিটে খুব কাছে থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কোরেয়া। ১০ মিনিট পর আর ব্যর্থ হননি তিনি। মোরাতার জায়গায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সমতা ফেরান ম্যাচে।

বিজ্ঞাপন

একের পর এক আক্রমণে অ্যাটলেটিকোর রক্ষণের পরীক্ষা নেওয়া ডর্টমুন্ড ফের এগিয়ে যায় ৭১তম মিনিটে। চমৎকার হেডে ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করেন ফুলক্রুগ। তিন মিনিট পরেই নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোর লাইন ৪-২ করে ফেলেন সাবিৎজার। ডি বক্সের মাথায় বল পেয়ে আড়াআড়ি শটে জালে খুঁজে নেন অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।

গোল শোধের জন্য মরিয়া অ্যাটলেটিকোকে পাল্টা আক্রমণ থেকে পিছিয়ে যেতে বসেছিল আরও। ফুলক্রুগের প্রচেষ্টা ঠেকানোর পর সাবিৎজারের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন ওবলাক। কিন্তু খুব প্রয়োজনীয় গোলের দেখা আর পায়নি অ্যাটলেটিকো।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন