বিজ্ঞাপন

মাদক ব্যবসায় অর্জিত ১৭৮ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে সিআইডি

April 17, 2024 | 3:39 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মাদক ব্যবসায় গডফাদারদের অবৈধভাবে অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সিআইডি এখন পর্যন্ত ৩৫টি মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে। এরমধ্যে ১০টি মামলার তদন্তে প্রকৃত গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এমনিকে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মাদকের অর্থে বাড়ি-গাড়ি, জমি জব্দ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাদক মামলায় ১২২ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি, এরমধ্যে এজাহারনামীয় ৬৭ জন। এসব মামলার গডফাদারদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ১০টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও দুটি বাড়ি যার মূল্য আট কোটি ১১ লাখ টাকা। মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। আরও ৩৫. ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও একটি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা জব্দের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার তদন্তে সাধারণত সেবনকারী বা বাহক পর্যন্ত তদন্ত করেই চার্জশিট দেওয়া হয়। পেছনের গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। আরও আগেই গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে পারলে মাদকের বিস্তার এত ব্যাপক হতো না। সিআইডি প্রথম গডফাদারদের গ্রেফতার ও তাদের সম্পদ জব্দের কাজে হাত দিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পদ ক্রোকের বিষয়ে আমরা আদালতে উপস্থাপন করি, আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ক্রোকের নির্দেশ দেন। পরে ক্রোক করে আদালতেই জমা দেওয়া হয়।

গডফাদারদের পরিচয়ের বিষয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, তারা এতোদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তারা প্রকৃতপক্ষে পেশাগতভাবে মাদক ব্যবসায়ী। তাদের আর কোনো পরিচয় নেই। যেহেতু গডফাদারদের গায়ে হাত পড়েছে। তারা গ্রেফতার হচ্ছে, তাদের সম্পত্তিও ক্রোক হচ্ছে। তাই আমি মনে করি অন্য গডফাদাররাও নিরুৎসাহিত হবে। আমি বিশ্বাস করি অন্য গডফাদাররা মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/আইই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন