বিজ্ঞাপন

ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই, গ্রেফতার ২

April 19, 2024 | 11:54 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ের মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ জানিয়েছে, এ চক্রটি বিদেশ ফেরত যাত্রীদের টার্গেট করে। এরপর ডিবি পরিচয়ে ওই যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিত। তারা নিজেদের কখনও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য, কখনও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক আবার কখনও কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয়ে ছিনতাই করত।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কর্ণফুলী থানার টোলব্রিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। একই মামলায় এ চক্রের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

গ্রেফতার দু’জন হলেন- মো. হোসেন (৩৩) ও ওমর ফারুক সালমান (২০)। হোসেন এ চক্রের মূলহোতা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী— গত ২৫ মার্চ সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আত্মীয়ের পাঠানো কিছু মালামাল গ্রহণ করে প্রাইভেটকারে এক ব্যক্তি হাটহাজারীতে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন। গাড়ি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার লিংক রোডে পৌঁছার পর তিনজন ব্যক্তি ওয়াকিটকি দেখিয়ে ইশারায় সেটা থামায়। তারা নিজেদের ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে গাড়িতে অবৈধ মালামাল তল্লাশির নামে সেখানে উঠে বসে।

এরপর গাড়ি মনছুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার কথা বলে সিআরবিতে নিয়ে যায়। ভয়ভীতি দেখিয়ে ১২টি সোনার হাতের বালা, ৯টি সোনার কানের দুল, ৬টি সোনার লকেট, তিনটি মোবাইল সেট, তিনটি ল্যাপটপ ও ছয় কার্টন সিগারেট নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তি ২৮ মার্চ কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক সারাবাংলাকে জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ চক্রের ১০ সদস্যকে আগে গ্রেফতার করেছিল। সর্বশেষ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহার করা একটি মোটরসাইকেল ও দু’টি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ছিনতাই করা মোবাইল ও সোনা বিক্রির ২ লাখ আট হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ জানিয়েছে, এ চক্র বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় বেশ সক্রিয়। কিছুদিন আগে এ চক্র ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিএসআরএম প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করে হাতিয়ে নেয়। সেটা তাদের ভুয়া অনলাইন পোর্টালেও নিউজ করে। ওই এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সবাই ভয় পেতেন। কারণ অভিযোগকারীদের তারা বিভিন্নভাবে মামলার ভয় দেখাতেন। পতিতা দিয়ে বাসায় ডেকে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করতেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক মেহেদী হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ চক্রের মূলহোতা হোসাইন ও আসাদ। আসাদকে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দুই ভাই। এরমধ্যে হোসাইনের কোনো পড়ালেখা নেই ও আসাদ এসএসসি পাশ। এরা প্রায়ই অনলাইন পত্রিকার রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে বিভিন্নস্থানে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহের নামে লোকজনকে হয়রানি করে, টাকা-পয়সা আদায় করে অথবা ছিনতাই করে।’

তিনি আরও জানান, তাদের কাছ থেকে অনলাইন পত্রিকার ১৫০টির বেশি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানা, বায়েজিদ থানা ও খুলশী থানায় প্রতারণা ও ছিনতাইয়ের মামলা আছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন