বিজ্ঞাপন

বেনজীরের সম্পদের তদন্ত চেয়ে দুদকে আবেদন ব্যারিস্টার সুমনের

April 21, 2024 | 1:13 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন দাবি করে সেই সম্পদের তদন্ত দাবি করেছেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন।

বিজ্ঞাপন

এই দাবি নিয়ে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনের এই সংসদ সদস্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনে সাবেক পুলিশ প্রধানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন ব্যারিস্টার সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে এই আবেদন জমা দেন ব্যারিস্টার সুমন। সারাবাংলাকে তিনি নিজেই আবেদন জমা দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন লিখেছেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের ৩০তম আইজি ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু চাকরিতে থাকাকালে তার স্ত্রী ও মেয়েদের নামে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে, যে সম্পদগুলো তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী জিসান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে প্রচুর সম্পদ গড়েছেন। তাদের নামে রাজধানীতে বেস্ট হোল্ডিংয়ের পাঁচ তারকা মানের হোটেল লা মেরিডিয়ানে শেয়ার, গোপালগঞ্জে বিলাসবহুল সাবানাহ ইকো রিসোর্ট, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে জমি ও একাধিক ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য প্রকাশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

ব্যারিস্টার সুমন ওই প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে লিখেছেন, বেনজীর আহমেদের বৈধ যে আয়, তার পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদের পরিমাণ তার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বেনজীর আহমেদ চাকরিতে থাকাকালে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন লিখেছেন, এ পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী সন্তানদের সম্পদের তদন্তে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ওই জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যগুলো অসত্য বলে দাবি করেছেন বেনজীর আহমেদ। শনিবার (২০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি সম্পত্তি অর্জনের তথ্যকে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, কেউ যদি সেই তথ্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তবে সেই সম্পত্তি সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে হাসিমুখে লিখে দেবেন তিনি।

‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামের ওই ভিডিওবার্তায় সাবেক আইজিপি বেনজীর বলেন, ২৪টি তথ্য বা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বা কল্পনাপ্রসূত। দুটি বিষয়কে সাত বার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। দুটি তথ্যকে ভুল প্রেক্ষাপটে বিকৃতভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। বাকি ১০টি অভিযোগ বা তথ্যকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে শুধু তিলকে তাল নয়, তালগাছের ঝাঁড়সমেত ভুলভাবে উপস্থান করা হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন